লিফট আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার দাবি বিইইএলআইএ’র

আমদানি করা লিফটকে মূলধনি যন্ত্রপাতি ঘোষণা ও অতিরিক্ত শুল্ক কর কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এলিভেটর, এস্কেলারেটরস অ্যান্ড লিফট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইইএলআইএ)।

বর্তমানে আমদানি করা লিফটের ওপর ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য থাকলেও ২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে লিফটের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বিইইএলআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে অবকাঠামো নির্মাণ ও আবাসন খাত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে আধুনিক বিশ্বে লিফটের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে লিফট আমদানিতে শুল্ক কর ৩১ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে করে সরকারি-বেসরকারি খাতের লিফটের ওপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ বৃদ্ধি ছাড়াও আমদানি খাতের ওপর নির্ভরশীল বিনিয়োগকারী বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

বাজেট প্রতিক্রিয়ার বিবৃতিতে দাবি করা হয়, কোভিড-পরবর্তী বিশ্বজুড়ে সরবরাহ সংকট ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে জাহাজ ভাড়া ৭-৮ গুণ বেড়ে যায়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে লিফটের দাম ১৮-২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এলসি (ঋণপত্র) মার্জিন ৫০-৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিকারকরা মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। সার্বিকভাবে সাম্প্রতিক সময়ে লিফটের দাম ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও নতুন করে অতিরিক্ত করারোপের ফলে লিফটের বাজারমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

সংগঠনটির দাবি, বাংলাদেশের লিফট সেক্টরকে বিশ্ববাজারের মতো প্রতিষ্ঠিত করতে নীতি প্রণয়ন, সেফটি স্ট্যান্ডার্ড ও রেগুলেটরি বডি তৈরি জরুরি। বিইইএলআইএ আমদানির পাশাপাশি দেশের লিফট সেক্টর নিয়ে কাজ করছে। এমতাবস্থায় শুল্ক হার কমানো হলে দেশের অবকাঠামো ও আবাসন খাত প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ