লন্ডন প্রবাসী শিবির নেতা মো.আতিকুল ইসলামের বাড়ীতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছ দুর্বৃত্তরা। এতে আতিকুলের বাবা-মা মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আতিকুল ইসলাম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পল্লীর পশ্চিম নোয়াগাও গ্রামের সামছুল হক ও মাহফুজা বেগমের পাচঁ সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে। জানা যায়, আতিকুল ইসলাম বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের কুমিল্লা শহরেরে নেতা ছিলেন। তিনি গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড পালিয়ে জান।
আতিকুল ইসলাম দেশে থাকাকালীন দীর্ঘদিন থেকে সরকারের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন লেখালেখি করতেন। তিনি সরকার ও সরকার দলের নেতা কর্মিদের সমাজবিরোধি কর্মকান্ডের নিয়মিত প্রতিবাদ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, এরই জের ধরে জন্য গতবছর আগস্ট মাসে দুবৃত্তরা তাকে কিডনাপ করে এবং অজ্ঞাত আটকিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করে। ৬ দিন পরে আতিকুললে মূমুর্ষ অবস্থা রাস্তায় ফেলে রেখে যায় দুবৃত্তরা। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে আতিকুল স্বাভাবিক জীবন যাপনের চেষ্টা করে কিন্তু দুবৃত্তদের হুমকি ধামকিতে তিনি আতঙ্কিত হন।
এরপর তিনি পালিয়ে লন্ডনে চলে যান এবং সেখান থেকে আবারো সরকার বিরোধি নানাবিদ ভিবিন্ন স্টাটাস স্যোসাল মিডিয়াতে পোস্ট করতে থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুবৃত্তরা বাংলাদেশে আতিকুলের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের উপর নির্যাতন চালাতে থাকে।
গত কয়েকদিন আগে তার একটা ফেসবুক পোস্টে সরকার প্রধানের বিপক্ষে বিরুপ মন্তব্য করলে তার বিরুদ্ধে এলাকার আওয়ামীপন্থি লোকেরা ফুঁসে ওঠে। তারই রেশ ধরেই এই হামলা, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন এলাকা বাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ০৮ এপ্রিল প্রায় রাত ১১ টার দিকে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসীবাহিনী আতিকুলের বাড়িতে হানা দেয়। রমজান মাস হওয়ায় গ্রামের দিকের বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে। দুবৃত্তরা এই সুযোগটা নিয়ে আতিকুলদের বাড়ির পিছনের পাঁচিল টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। তখন আতিকুলের বাবা-মা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। প্রথমে দুর্বৃত্তরা তার বাবা-মাকে মারধর করে এবং লুটপাট চালায়। তারা প্রস্থান কালে ঘরের ভিতরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং আতিকুলকে দেশে ফিরিয়ে না আনলে তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়।
আতিকুল এলাকার নানান ধরনের উন্নয়নমূলক ও সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এলাকার সাধারণ মানুষজন তাকে পছন্দ করেন। এতেও সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতাকর্মিরা ঈর্ষান্বিত হয়ে এর আগেও আতিকুলের পরিবারের ওপর এমন হামলা চালিয়েছে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে থানায় কোন মামলা রুজু হয়নি।
আমাদের প্রতিনিধি স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করলে কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক এ ব্যপারে কিছু বলতে পারেননি।