রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সংঘাতের শঙ্কায় পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে সেপ্টেম্বর-২০২২ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কমিশনার এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সংঘাত বাড়াতে কিছু মানুষ কাজ করবে, তাদের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
দেশের থানাগুলোতে কোনো নিখোঁজ জিডি হলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ হঠাৎ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন ও আইনগতভাবে মানুষকে সেবা প্রদানের জন্য অধস্তন পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আমাদের আরও সর্তক অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, চুরি মামলা, ছিনতাই মামলা, মামলা তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও মুলতবি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। এ ছাড়া মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতেই গত আগস্ট মাসের খাতওয়ারি অপরাধ চিত্র বা অপরাধ বিবরণী পর্যালোচনা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা তথা অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।