২০২০ সালে সবশেষ বাংলাদেশ দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকে জাতীয় দলে উপেক্ষিত তিনি। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় না বললেও জাতীয় দলের দরজা একপ্রকার বন্ধই বলা যায় সাবেক এই অধিনায়কের জন্য। লাল-সবুজে জার্সি গায়ে আবার ফেরা সহজ নয় জেনেও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন মাশরাফি। আর ঠিক কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি?
এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলবেন মাশরাফি। মিরপুরে আজ (বৃহস্পতিবার) অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, যতদিন উপভোগ করবেন, ততদিন খেলা চালিয়ে যাবেন।
মাশরাফি বলেন, ‘আমার কোনো লক্ষ্য নেই। আমি আগেও বলেছিলাম। শুধুই ভালো লাগা থেকে খেলছি। আমার কোনো লক্ষ্য নেই। ঢাকা লিগে অসংখ্য খেলোয়াড় আছে যারা হয়তো ১০-১৫ বছর খেলছে। তাদের আর লক্ষ্য অন্যদিকে নেই। কেউ রুজি-রুটির জন্য খেলে, কেউ ভালো লাগার জন্য খেলে। খেলাটাই আনন্দ তাদের কাছে, তাই খেলে। আমার কাছে খেলাটা সবসময় উপভোগের। দেখা যাক কতদিন খেলতে পারি।’
ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরতে ভারতে যান মাশরাফি। পিঠের ব্যথা সহজে ভালো হওয়ার নয়। এজন্য আবার অস্ত্রোপচার টেবিলে যেতে হবে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরতে লেগে যাবে দীর্ঘ সময়। ফলে এখনই এই ঝুঁকি নিতে চান না মাশরাফি। যদিও এই চোটের কারণে রূপগঞ্জের হয়ে লিগে নিজেদের প্রথম ম্যচ খেলতে পারেননি।
মাশরাফি বলছিলেন, ‘আমি চিকিৎসা করিয়ে এসেছি। সার্জারি করলে লম্বা সময়ের ব্যাপার। এ মুহূর্তে এডজাস্ট করে যত সময় খেলা যায়। এরপর বড় গ্যাপ আছে, (সীমিত ওভারের) ঘরোয়া ক্রিকেট তো নেই। এখন অপারেশন করালে হয়তো ঘরোয়া ক্রিকেট মিস হতো। এজন্য আর কি ম্যানেজ করে যতটুকু খেলা যায়।’
সঙ্গে যোগ করেন মাশরাফি, ‘এটি (সার্জারি) কঠিন। পিঠের সার্জারি আগে কখনও করতে হয়নি। এবার সার্জারিটা চিকিৎসক নিষেধ করছে। কারণ এই সার্জারিটা লম্বা সময়ের ব্যাপার। প্রায় নয় মাস লেগে যাবে ফিট হতে। আমার কাছে মনে হয় না সার্জারি করে নয় মাস রিহ্যাব করে মাঠে ফেরার কোনো পয়েন্ট আছে আমার। যেহেতু জাতীয় দলের কোনো ফোকাস নেই, সার্জারি থেকে যতটা দূরে থাকা যায় আর কী।’
রূপগঞ্জের হয়ে ডিপিলের দ্বিতীয় রাউন্ডেই ফেরার আশা মাশরাফির, ‘আমাদের পরের ম্যাচ কালকে (শুক্রবার)। আশা করছি এখন পর্যন্ত (খেলবো)। বাকিটা মাঠে গিয়ে দেখা যাক।’