উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (এসএসিএমও) পদে চাকরি করেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চক্ষু ডাক্তার সেজেঁ দীর্ঘদিন ধরে তিনি চেম্বার করে আসছেন ঢাকার নবাবগঞ্জে। এমন প্রতারণার সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ১ মাসের দন্ডাদেশ দিয়েছেন সাইফুল ইসলামকে (৪৪)। গত শনিবার (৬ মে) থেকে তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে সাঁজা ভোগ করছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া বলেন, ছুটি ছাড়া সাইফুল ইসলামের কর্মস্থলে টানা অনুপস্থিতির কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছে। দন্ডাদেশের বিষয়টি আমি অফিসিয়ালি কিছু জানি না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (৫ মে) বিকেলে সাইফুল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের চৌরাস্তা এলাকায় সালমান অপটিকস নামের একটি প্রাইভেট চেম্বারে চক্ষু ডাক্তার সেঁজে চিকিৎসা দেয়ার সময় গ্রেপ্তার হন। ভুয়া ডাক্তার প্রমানিত হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হালিম তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এর পর থেকেই সাইফুল ইসলাম কারাভোগ করছেন। দন্ডিত সাইফুল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাসিন্দা। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আটক হওয়ার পর সরকারি চাকরির কথা গোপন রেখে নিজেকে একজন কাপড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রতি শুক্রবার তিনি সালমান অপটিকসে চক্ষু ডাক্তার হিসেবে চেম্বার করে আসছিলেন । দন্ডপ্রাপ্ত সাইফুলের পরিবার জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের দেয়া সাঁজার বিরুদ্ধে আপীলের প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, সরকারি চাকরি বিধিমালার ক্ষেত্রে দন্ডপ্রাপ্তদের সাজা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। তবে এসএসিএমও সাইফুলের দন্ডাদেশের বিষয়টি আমি অবগত নই।