দেশে চলমান বন্যায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে সারাদেশে বন্যাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৩১ জন।
রোববার (৩ জুলাই) বিকেলে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বন্যাজনিত কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় (এক দিনে) আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এ সময়ে নতুন করে ৮৮৮ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ১৫ জেলায় এ পর্যন্ত ১০২ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগেই ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ১৮, সুনামগঞ্জে ২৮, মৌলভীবাজারে ৫ ও হবিগঞ্জে ৫ জন মারা গেছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৬, নেত্রকোণায় ১৩, জামালপুরে ৯ ও শেরপুরে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রংপুর বিভাগে এ পর্যন্ত বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৪ ও লালমনিরহাটে ৬ জন মারা গেছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে বন্যায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাটিতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১২৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৭ মে থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৮৬ জন। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪৭৯ জন, এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন, তাদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনে ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন, দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের।
এ ছাড়া, চর্মরোগে ৯৫৩, চোখের প্রদাহজনিত রোগে ২২৬ আক্রান্ত হয়েছেন। নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ৩০৭ জন। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৬২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন।