প্রেমের টানে পাবনায় এসে ঘর বাঁধলেন আমেরিকান তরুণী

এবার প্রেমের টানে আমেরিকা থেকে এক তরুণী বাংলাদেশের পাবনায় এসেছেন। ওই আমেরিকান তরুণীর নাম হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন (২০)। তিনি আমেরিকার কেন্টাকি প্রদেশের জর্জটাউন শহরের বাসিন্দা। গত ২১ অক্টোবর বাংলাদেশে এসে পাবনার আসাদুজ্জামান রিজুর (২৭) সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। নবদম্পতিকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে এলাকার মানুষ।

আসাদুজ্জামান রিজু ঈশ্বরদী শহরের পিয়ারাখালী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি কম্পিউটার সফটওয়্যার অ্যান্ড হার্ডওয়্যার কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করেন। বিয়ের পর ঈশ্বরদী শহরের পিয়ারাখালি এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে নতুন সংসার শুরু করেছেন তিনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে থেকেই ফেসবুকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা দুজন বিয়ে করার কথা ভাবেন। পরে আমেরিকার থেকে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন ডেভিডসন। গত শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে পরদিন রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে পারিবারিকভাবে ঢাকায় বিয়ে করেন তারা। ইসলাম ধর্মের রীতি মেনে আসাদুজ্জামান রিজুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিয়ের আগেই ডেভিডসন খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর বিকেলে ঈশ্বরদীর বাড়িতে যান।

আসাদুজ্জামান রিজু বলেন, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসেন ডেভিডসন।

তিনি আরও বলেন, আমরা উভয়ে ভালোবেসে বিয়ে করে সুখের সঙ্গে বসবাস করছি। আমার বাসায় প্রতিদিন অনেক লোকজন আসছেন তাকে দেখতে। আমাদের সঙ্গে সেলফি তুলে তাদের শখ পূরণ করছেন। আমরা সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চাই। আমাদের বাসার পরিধি ছোট হওয়ার কারণে নতুন বাসা ভাড়া নিতে হয়েছে। বাড়ির পাশেই মনিরুল ইসলামের বাড়ির একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছি। এখন বাসায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা ও গোছগাছ করতে সময় কাটছে।

হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন তেমন বাংলা না জানলেও ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলেন, আমি এখানে এসে ভালো আছি, আমার ভালো লাগছে।

ঈশ্বরদী শহরের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরদীতে রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্প হওয়াতে রাশিয়া, বেলারুশসহ বিভিন্ন দেশের তরুণীদের দেখলেও এই প্রথম কোনো আমেরিকান তরুণী আমাদের এলাকায় আসছে। আমরা দেখতে আসছি। খুবই ভাল লাগছে।

আসাদুজ্জামান রিজুর বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, আমার ছেলের পছন্দ তাই আমরা পারিবারিকভাবে এ বিয়ে মেনে নিয়েছি। ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে ঢাকার একটি কাজি অফিসের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়েছে। ওদের নতুন সংসারের জন্য যাবতীয় কিছু করে দেওয়া হচ্ছে।

ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইসহাক আলী মালিথা বলেন, মানুষের থেকে শুনেছি আমেরিকান থেকে একটি মেয়ে প্রেমের টানে ঈশ্বরদীতে এসে বিয়ে করছেন। আমিও বিষয়টি খোঁজখবর নিয়েছি। তারা বেশ ভালো আছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ