পাকিস্তানের ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ ও সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতৃত্বাধীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর গভীর রাতে পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ইমরান খান। দেশটির ৩৪২ সদস্যের সংসদের ১৭৪ জনই ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল। বিকেল ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
নতুন সূচি অনুযায়ী, দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার দুপুর ২টায়।
বিরোধীনেতা শহীদ খাকান আব্বাসি, সৈয়দ নাভিদ কামার, খুরশিদ আহমেদ শাহ, মহসিন দাওয়ার এবং অন্যান্যদের সাথে নিয়ে জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন শেহবাজ শরিফ। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতীয় সম্প্রীতিই হবে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়। অর্থনীতি চাঙ্গা করে জনগণকে স্বস্তি দেওয়া হবে।
পিএমএল-এনের এই নেতা বলেছেন, বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার পর তিনি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। তিনি বলেন, তারা একটি নতুন যুগের সূচনা এবং দেশে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতির প্রচার করবে।
পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে শেহবাজ শরিফ বলেন, তারা ভারতের সাথে শান্তি চায়, কিন্তু কাশ্মির সমস্যার সমাধান ছাড়া তা সম্ভব নয়। তিনবারের সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেহবাজ শরিফ বলেন, মামলা আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে।