দেশি বিভিন্ন ফলের উপকারিতা অনেক। এসব ফলকে পুষ্টির ভাণ্ডারও বলা হয়। পরিচিত ফলগুলোর মধ্যে একটি হলো পেঁপে। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকর। পেঁপেতে থাকে ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ। ফলটি প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেঁপে খেলে দূরে থাকে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগের মতো রোগ।
এদিকে উপকারী ফল পেঁপে কারও কারও জন্য ক্ষতিকর। না জেনে খেলে হয়তো উপকারের বদলে ক্ষতিই হবে বেশি। তাই পেঁপে খাওয়ার আগে জেনে রাখা জরুরি, কাদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
শিশুর জন্য ক্ষতিকর
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর বয়স যদি এক বছরের কম হয় তাহলে তাকে পেঁপে খেতে দেওয়া যাবে না। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই বয়সী শিশু সাধারণত কম পানি খায়। তাই পর্যাপ্ত পানি ছাড়া উচ্চ ফাইবারযুক্ত পেঁপে খেতে দিলে শিশুর মলত্যাগে সমস্যা হতে পারে। শিশু ভুগতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়। তাই এই বয়সী শিশুকে রান্না করা বা কাঁচা পেঁপে কোনোটাই খেতে দেওয়া উচিত নয়।
শ্বাসকষ্ট থাকলে
যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তারা পেঁপে খাওয়া এড়িয়ে চলবেন। কারণ এই ফলের মধ্যে অ্যালার্জেন থাকে। পেঁপে খাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। হাঁপানির রোগীদের ক্ষেত্রে এই ফল বেশি খাওয়া চলবে না। আপনার যদি শ্বাসকষ্ট থাকে তবে পেঁপে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে
পুষ্টিকর পেঁপে গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর বীজ, শেকড় ও পাতা ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে। অপরদিকে কাঁচা পেঁপে জরায়ুর সংকোচনের কারণ হতে পারে। পেঁপেতে থাকা পেপাইন শরীরের ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্থ করে, যা ভ্রূণের বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ফল শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা গর্ভবতী নারীর জন্য উপকারী নয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে
কোষ্ঠকাঠিন্য এখন পরিচিত একটি সমস্যা। খাদ্যাভ্যাসের ভুলের কারণে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেকে মনে করেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পেঁপে খাওয়া উপকারী। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ফলে থাকা ফাইবার হজমে ব্যাঘ্যাত ঘটাতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে বেশি খেলে পেট ফোলা, পেট ফাঁপা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। পেঁপের বীজ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে থাকা টক্সিক এনজাইম কারপাইন মস্তিষ্কে অসাড়তা তৈরি করে। ফলে ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।