দরপতনের মাধ্যমে গেল সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী (১৭ থেকে ২১ জুলাই) সপ্তাহে ভয় থেকে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম ও সূচক কমেছে। তাতে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা।
ঈদুল আজহা পরবর্তী সপ্তাহে পুঁজি কমেছিল ৩ হাজার কোটি টাকা। সবমিলিয়ে গেল দুই সপ্তাহে পুঁজি কমেছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ৩৩১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৯৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে ৬ হাজার ১২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৩২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৫ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন (অর্থাৎ পুঁজি) ১২ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৬০ কোটি ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৫২ টাকা। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩ হাজার ১১৯ কোটি ৪লাখ ৬৬ হাজার ৮ টাকায়।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৭০ কোটি ৬৬ লাখ ২৪ হাজার ২৩১ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট তিন দিনে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ১৪৪ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮শ কোটি টাকা লেনদেন বেড়েছে। যা শতাংশের হিসাবে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক ৬২৭ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ৩০৫টি।