পাইলসের সমস্যা অপরিচিত নয়। কারণ এই রোগে ভুগে থাকেন অনেকেই। পাইলসের যন্ত্রণা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। একবার ধরা পড়লে সেরে উঠতে লেগে যায় অনেকটা সময়। এই রোগ অনেক সময় নিয়ে যেতে পাইরে ক্যান্সারের দিকেও! তবে এর লক্ষণগুলো আগে থেকে জানা থাকলে শুরুতেই অসুখ সারানো সহজ হয়। জেনে নিন পাইলসের কারণ ও লক্ষণ-
যেসব কারণে পাইলস হতে পারে-
কোষ্ঠকাঠিন্য, দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া, মলত্যাগের জন্য দীর্ঘ সময় বসে থাকা, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, পারিবারিক ইতিহাস, ফাইবার জাতীয় খাবার কম খাওয়া, ভারী কিছু বহন করা, অতিরিক্ত ওজন, কায়িক শ্রম ইত্যাদি কারণে পাইলসের মতো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও পাইলস হতে পারে গর্ভাবস্থায়, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণে। পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোনো ভাল্ব না থাকায় এগুলোর কোনো একটি কারণে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোতে চাপ পড়ে। যে কারণে সৃষ্টি হয় পাইলস।
পাইলস সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে-
* পায়ুপথের বাইরে পাইলস
* পায়ুপথের ভেতরে পাইলস
* কখনও দুই অবস্থা একসঙ্গেও থাকতে পারে।
পায়ুপথের অন্ত্র বা ভেতরে পাইলসের লক্ষণ-
* সাধারণত তেমন কোনো ব্যথা বেদনা থাকে না
* অস্বস্তি থাকে না।
পায়ুপথের বাইরে পাইলসের লক্ষণ-
* পায়ুপথ চুলকায়
* বসলে ব্যথা অনুভূত হয়
* পায়খানার সঙ্গে টকটকে লাল রক্ত দেখা যায় বা শৌচ করা টিস্যুতে তাজা রক্ত লেগে থাকে
* মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভব হয়
* পায়ুর চারপাশে এক বা একাধিক থোকা থোকা ফোলা থাকে
পায়ুপথের ভেতরের পাইলস ফুলে মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসা পর্যন্ত ৪টি পর্যায় রয়েছে-
* প্রথম পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে না বা প্রলেপস হয় না)
* দ্বিতীয় পর্যায় (পায়খানার পর পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে এবং নিজ থেকে ঠিক হয়ে যায়)
* তৃতীয় পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে এবং নিজে ঠিক করতে হয়)
* চতুর্থ পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে এবং তা আর নিজে ঠিক করা যায় না)।