পদ্মা সেতু দেখে বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ হচ্ছে : সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় মানুষ খুশি। তবে ফখরুল (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) সাহেবের মন খারাপ। দেশের মানুষ ভালো থাকলে ফখরুল সাহেবের মন খারাপ হয়ে যায়। মানুষ ভালো থাকলে বিএনপির সকলের মন খারাপ হয়ে যায়। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি নেতাদের এখন পদ্মা সেতু দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক অবশেষে নিজেরাই স্বীকার করেছে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে। বাঙালি জাতির স্বপ্ন পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক আমাদেরকে অপবাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হেনস্তা করেছে। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, পুতুল, ববিসহ সবাইকে এই পদ্মা সেতুর জন্য হেনস্তা হতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, খড়স্রোতা প্রমত্তা পদ্মা নদীতে সেতু নির্মাণ ছিল আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ। দলীয় সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়েছি। আগামী মাসেই হয়তো পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলের অপেক্ষার অবসান হবে। খুব শিগগিরই আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেতু খুলে দেওয়ার তারিখ জানিয়ে দিব। পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করবে দেশের জনগণ। আগে যেখানে ফেরি দিয়ে পদ্মা নদী পাড় হতে দুই আড়াই ঘণ্টা সময় লাগতো, এখন পাড় হওয়া যাবে ছয় থেকে সাত মিনিটেই। শুধু পদ্মা সেতু নয়, আমাদের মেগা প্রকল্পের বিআরটি প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণও এখন শেষের পথে। গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যায় আর দুর্ভোগ হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। নানা ষড়যন্ত্রের পর বিশ্ব ব্যাংক সরে গেলেও পরে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

এ সময় তিনি লেন, বিএনপি মিথ্যাচারের রাজনীতি করে। তারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে মিথ্যা কথা বলে। এগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট অসত্য তথ্য। প্রকৃত সত্য ছিল বঙ্গবন্ধুই হলেন স্বাধীনতার ঘোষক, যা সে সময়ে দেশ-বিদেশের নানা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি সরকার পরিচালনা করে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। তখন উত্তরবঙ্গের মানুষ না খেয়ে মারা যেত। আর আওয়ামী লীগের গত ১৪ বছরের শাসনামলে উত্তরবঙ্গের একজন মানুষও এক বেলাও না খেয়ে থাকেনি। শেখ হাসিনার সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। চাল উৎপাদনে এখন আমরা বিশ্বে তৃতীয়।

গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

আরও বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকি, সিমিন হোসেন রিমি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদ খোকন, আনোয়ার হোসেন, সাহাবউদ্দিন ফরাজী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও সাবেক ডাকসু নেতা আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ