বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই খেলতে পাঠায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সাবিনাদের এই টুর্নামেন্টে না পাঠানোর কারণ হিসেবে আর্থিক সংকটকে দেখিয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে মিয়ানমারে দল না পাঠানোকে বাফুফের ইচ্ছেকৃত এবং এর দায় অন্যের উপর চাপানোর চেষ্ঠা বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারো দোষ বা ভুল যদি অন্য কারো কাধে চাপিয়ে দেয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে অনেকভাবে দেয়া যায়। সেটা কিন্তু আমরা এই নারী ফুটবল দলের ক্ষেত্রে দেখতে পেলাম। যারা আমাদের জন্য এত বড় অর্জন নিয়ে এসেছে। সারা দেশকে যারা সম্মানিত করেছে। তারা অলিম্পিক কোয়ালিফাই ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না।’
সাবিনারা মিয়ানমার যেতে পারছে না এই বিষয়টি বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগই প্রথমে গণমাধ্যমে জানান। সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যকে ধৃষ্টতার শামিল হিসেবে মন্তব্য করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘নির্বাচিত কেউ কথা বলেনি , ফেডারেশনে চাকরি করে এমন একজন সরকারকে দোষারোপ করে বক্তব্য দিয়েছেন। ২৭ তারিখ চিঠি পেলাম ২৯ তারিখ সম্মেলন (সাধারণ সম্পাদক মিডিয়ায় বলেছেন) করলেন তারা টাকা পাওয়ার কিছু দেখছেন না। এক দিনের মধ্যে তারা কিভাবে বক্তব্য দেয়। আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিলাম। সরকারকে সময়ই দেয়া হলো না। এক ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা বললেন।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সাবিনাদের না যাওয়ার বিষয়ে সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমীর মন্তব্য তার চোখে পড়েছে, ‘নিজের দোষ অন্যের কাধে চাপানোর চেষ্ঠা করছে ফুটবল ফেডারেশন। মিডিয়ার নিউজের মন্তব্যে সবাই ফুটবল ফেডারেশনকে দোষারোপ করেছে।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অনুমান বাফুফে ইচ্ছেকৃতভাবেই কাজটি করেছে, ‘আমরা তাদের পাশে থাকতাম। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত ছিল। অন্যায় সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়েদের বঞ্চিত করলেন। ভারত কোয়ালিফাই করেছে, আমাদের সম্ভাবনা ছিল। সেই সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করলেন। কেন ইচ্ছেকৃতভাবে কাজটি করলেন, ভাবমূর্তির সংকটে ফেললেন। এত অল্প টাকার জন্য যেতে পারবে না, এর পেছনে অন্য কিছু রয়েছে।’