দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক শূন্য ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বিপ্লব দাশ। তিনি বলেন, আজ শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারের সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে।

এদিকে জেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা নেই৷ হিমেল বাতাস ও কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রচন্ড শীতে ভোগান্তিতে রয়েছেন হাওরাঞ্চলের বোরো চাষী ও চা শ্রমিকেরা। কনকনে ঠান্ডায় দেরিতে মাঠে নামছেন কৃষকেরা। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে সারাদিনই। দুদিন ধরে কুয়াশার মাত্রা একটু কমলেও কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

রাজনগর উপজেলার করিমপুর চা বাগানের নারী শ্রমিক ভগবতি বলেন, সকাল ৭টায় চা পাতি তুলতে যাই। কিন্তু বেশি শীত থাকায় এখন ৯টা বাজে সেকশনে যাচ্ছি।

আরেক শ্রমিক রাম গোয়ালা বলেন, চা গাছে কুয়াশা জমে আছে। পাতি তুলা যায় না। একটু রোদ না পেলে পাতি শুকায় না। তাই শ্রমিকেরা দেরিতে কাজে আসে।

গত কয়েকদিন থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে হাকালুকি, কাউয়াদিঘি, হাইল হাওরে বোরো চাষের মৌসুম চলছে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ভরা মৌসুমেও বোরো চাষে শ্রমিক সংকট রয়েছে।

সদর উপজেলার হাকালুকি হাওর পাড়ের কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, শীত ও কুয়াশার কারণে হাওরে বোরো চাষে ব্যাঘাত ঘটছে। শীতের কারণে শ্রমিক সংকটও রয়েছে৷ জমিতে হালি চারা নষ্ট হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ