দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়েতো ও পিটারমারিৎসবার্গ শহরের ২টি পানশালায় বন্দুক হামলা হয়েছে। সোয়োতের হামলায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন, আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
কাছাকাছি সময়েই সোয়েতো থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের শহর পিটারমারিৎসবার্গে বন্দুক হামলায় নিহত হন ৪ জন। তবে সেখানে আহতের সংখ্যা তাৎক্ষনিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার মধ্যরাতের পর এ হামলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের কিছু পরে কয়েক জন বন্দুকধারি ওই পানশালায় ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে চালাতে শুরু করেন। কয়েক মিনিট গুলি চালিয়ে সবাই পানশালাটি থেকে ছুটে বেরিয়ে যায়।
কী কারণে এই হামলা ঘটল এবং কারা এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট— সেসব এখনও স্পষ্ট নয়। ঠিক কতজন হামলাকারী পানশালাটিতে ঢুকেছিলেন— তারও কোনো সুনির্দিষ্ট সংখ্যা পুলিশকে জানাতে পারেননি কোনো প্রত্যক্ষদর্শী।
এখন পর্যন্ত হামলার কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি, হামলায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে এখনও কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি পুলিশ।
আহতদের ইতোমধ্যে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে সহিংসতা ও সংঘাতপূর্ণ দেশসমূহের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম। প্রতি বছর সহিংসতার কারণে দেশটিতে নিহত হন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। অধিকাংশ সহিংসতার কারণই হলো বর্ণবাদী ধ্যানধারণা বা শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ দ্বন্দ্ব।
রাজধানী জোহানেসবার্গের সোয়েতো শহরটিতে কৃষ্ণাঙ্গরা সংখ্যাগরিষ্ঠ; কিন্তু তাদের অধিকাংশই চরম দরিদ্র। অন্যদিকে শহরটিতে বসবাসকারী শ্বেতাঙ্গরা সংখ্যালঘু হলেও আর্থিকভাবে সুসম্পন্ন।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিকাংশ শহরের কৃষ্ণাঙ্গ ও শেতাঙ্গদের অবস্থা সোয়োতোর মতোই।