তানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভারি বর্ষণের পর ছোট আকারের একটি বেআইনি সোনার খনি ধসে কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মূলত বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও একদল লোক সেখানে খনন শুরু করলে ভূমিধস ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দেশটির এক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। অঞ্চলটির বারিয়াদি জেলার প্রশাসক সাইমন সিমালেঙ্গা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরে সিমিউ অঞ্চলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার সময় ২৪ থেকে ৩৮ বছর বয়সী একদল লোক একটি অনিরাপদ জায়গা খনন করছিলেন। যদিও সরকার আবিস্কৃত খনিজসমৃদ্ধ জায়গাটির অনুমোদন দেয়নি। এর আগেই তারা জায়গাটিতে খননকাজ শুরু করতে চলে যায়।
আঞ্চলিক খনি কর্মকর্তা পরিদর্শনের পর খনন থেকে বিরত থাকতে বলার পরও স্থানীয় জেলা প্রশাসকের আদেশ অমান্য করে শুক্রবার খননকাজ শুরু করে। পরবর্তীতে খনিতে ধস দেখা দিলে সকলেই ভেতরে আটকা পড়ে।
উল্লেখ্য, তানজানিয়ার সরকার ছোট আকারের খনির শ্রমিকদের নিরাপত্তার উন্নতির জন্য বছরের পর বছর ধরে কাজ করেছে। কিন্তু দেশটিতে এখনো অনিরাপদ এবং অনিয়ন্ত্রিত অবৈধ খনন ঘটে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা ও মালির পর আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ তানজানিয়া।