সরবরাহ কম, মুরগির খাবারের দামবৃদ্ধি, বৃষ্টি ও বাড়তি পরিবহন ভাড়ার অজুহাতে বেড়ে যাওয়া ডিমের দাম এখনও কমেনি। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। অন্যদিক পাড়া মহল্লার দোকানে একই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজও ডিমের দাম চড়া।
সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা লাল ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। আর পাড়া মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একইভাবে দেশি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা ডজন। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা। এছাড়া, কোয়েল পাখির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
মহাখালী কাঁচাবাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল হক। তিনি বলেন, বাজারে এমন কিছু নেই যার দাম বাড়তি যাচ্ছে না। দামের কারণে যারা মাছ, মাংস কিনে খেতে পারছেন না তারা অন্তত সবজি, ডিম, ডাল খেয়ে বেঁচে আছেন। সেই ডিমের দামও এখন বাড়তি।
তিনি বলেন, বাজারে এক হালি ডিম কিনতে হচ্ছে ৪৮ টাকায়। আর পাড়ার দোকানে দাম পড়ে যাচ্ছে ৫০ টাকা। অর্থাৎ একটি ডিম ১২ টাকা ৫ পয়সায় কিনতে হচ্ছে। দোকানদারদের জিজ্ঞেস করলে বলে, মালের দাম বাড়তি যাচ্ছে।
রাজধানীর মালিবাগ এলাকার ডিম বিক্রেতা আব্দুস সোবহান বলেন, গত সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে ডিমের সরবরাহ কম ছিল। তাই দাম বেড়েছিল। আমরা খুচরা বাজারে ডিম ১৪৫ টাকা ডজন বিক্রি করছি। মূলত মুরগির খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিদের খরচ বেড়েছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ আগের চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, ডিমের দাম বাড়তি যাওয়ার কারণে বর্তমানে আমাদের বিক্রি কমেছে। আগে যে এক ডজন ডিম কিনত, সে এখন ৬টি কেনে।
বাজারের চেয়ে পাড়া-মহল্লার দোকানে ডিমের দাম বেশি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রামপুরা এলাকার মুদি দোকানি মোজাম্মেল হক বলেন, বড় দোকানে প্রচুর বিক্রি হয়। কিন্তু আমরা বাজার থেকে অল্প সংখ্যক ডিম এনে দোকানে বিক্রি করি। তাই ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি করছি ডিম। এটাই বাজারে গেলে ক্রেতারা ১৪৫ টাকায় পাচ্ছেন।
রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন বৈশাখী সরণি এলাকার ডিম বিক্রেতা শাজাহান মিয়া লাল ডিমের পাশাপাশি দেশি মুরগির, হাঁসের ও কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, আজ বাজারে হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আর দেশি মুরগির ডিম ২০০ টাকা ডজন। কোয়েলের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।