বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কিনেছেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা গ্রহণের একদিন বাদেই তিনি টুইটারের কোনো নীতিগত পরিবর্তন করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় মাস্ক জানান, আমি পরিস্কার করে বলতে চাই, আপাতত টুইটারের কনটেন্ট মডারেশন পলিসিতে কোনো পরিবর্তন আসছে না।
তবে এর আগে তিনি টুইটারের জন্য নতুন মডারেটর কাউন্সিল তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ছোট খাটো ভুলের জন্য যাদের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছিল, তাদের টুইটার ব্লক লিস্ট থেকে মুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে টুইটারে কমেডি আইনগত বৈধ।
কেউ কেউ মনে করছেন, টুইটার হয়তো নতুন মডারেটর কাউন্সিলের মাধ্যমে যাচাই বাছাই শেষে কিছু বিষয় পরিবর্তন আনবে। তবে ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ মনে করছে, ইলন মাস্ক হয়তো বিদ্বেষ ছড়ায় ও ভুল তথ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি বিধিমালা শিথিল করতে পারে।
যদিও ইলন মাস্ক বলেছেন, নতুন কাউন্সিল সব কিছু পর্যবেক্ষণ করেছে। আমরা চাইছি বিস্তৃতভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে। নতুন কোনো বড় সিদ্ধান্ত বা অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনই হচ্ছে না বলেও তিনি টুইটে জানান।
এদিকে গত ১৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের চ্যান্সেরি আদালত এক রায়ে জানান, ২৮ অক্টোবরের মধ্যেই টুইটার কিনতে হবে ইলন মাস্ককে এবং এটি কিনতে হবে পূর্ব প্রতিশ্রুত ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারেই।
আদালতের রায় মেনে সময়সীমা পেরোনোর এক দিন আগেই টুইটার কিনে নিয়েছেন বলে ঘোষণা দিলেন মাস্ক। বৃহস্পতিবার তাকে টুইটারের মূল কার্যালয়ে একটি সিঙ্ক বহন করতেও দেখা গেছে।
এর আগে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, টুইটারে নানা পরিবর্তন আনতে হবে। সেসব পরিবর্তনের অংশ হিসেবে টুইটারের প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছিলেন তিনি। সামনের মাসগুলোয় টুইটারে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে।
টুইটারের মালিকানা ইলন মাস্ক কিংবা বর্তমান কর্তৃপক্ষ যার হাতেই থাকুক না কেন, প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মী ছাঁটাই হবে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টুইটারের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগামী বছরের শেষ নাগাদ কোম্পানির কর্মীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ থেকে ৮০ কোটি ডলার কাটছাঁটের পরিকল্পনা করেছে। এর মানে হলো, প্রতিষ্ঠানটির প্রায় এক–চতুর্থাংশ কর্মশক্তিকে বিদায় নিতে হবে।