টালবাহানা না করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি বিএনপি নেতাদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
‘বিরোধী দল যাতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সেজন্য মাঠ খালি করতে হামলা করা হচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল ইসলামের এ ধরনের বক্তব্য হাস্যকর ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া আরও কিছু নয়। বিএনপি নেতারাই তো মাঠে নামতে ভয় পায়, আন্দোলনের ডাক দিয়ে তারা ঘরে বসে থাকে। আমরা বারবার চেয়ে এসেছি বিএনপি নির্বাচনে আসুক।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক, আওয়ামী লীগ খালি মাঠে গোল দিতে চায় না। প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিশালী হলে নির্বাচনও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। শেখ হাসিনা সরকার ভালো একটি নির্বাচন বাংলাদেশে চায়। আওয়ামী লীগ দেশে ভালো একটা নির্বাচন হোক তা মনে-প্রাণে চায়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন খুব বেশি দূরে নয়, আপনারা জোট করুন বা নিজেরা একা আসুন সেটা আপনাদের ব্যাপার। নির্বাচনে আসতে হবে- ক্ষমতার মঞ্চে কোন পরিবর্তন চাইলে নির্বাচন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।
‘সরকারি দল বিএনপিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে না পেরে সরকার মনঃকষ্টে ভুগছে’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয় বরং শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা দেখে মনঃকষ্টে ভুগছে বিএনপি। বিএনপি বুঝে গেছে যে- বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে পরাজিত করা সম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা বারবার ঐক্যের ডাক দিয়ে গলা শুকিয়ে ফেললেও জনগণ কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। আর সেই কারণেই তাদের মনঃকষ্ট বেড়েই চলেছে।
বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, সরকার কেন বিএনপিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে যাবে? কোনো সরকারি দল কি চায় দেশকে অস্থির করতে, দেশে সংঘাতপূর্ণ একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে? শেখ হাসিনা সরকার শান্তি ও স্বস্তি চায়।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আন্দোলন করেন ভালো কথা, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় যা যা করা দরকার সরকার তাই করবে। এখনো সময় আছে ষড়যন্ত্রের পথ থেকে সরে এসে নির্বাচনের পথে আসুন, নির্বাচনের মাঠেই আপনাদের সঙ্গে মোকাবিলা হবে।