জনসনের পদত্যাগের খবরে রাশিয়া বলল, আমরাও তাকে পছন্দ করি না

করোনাভাইরাস মহামারিতে লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি হওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ছেন। বৃহস্পতিবার জনসনের নেতৃত্ব ছাড়ার খবর গণমাধ্যমে আসার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া।

ক্রেমলিন বলেছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রাশিয়াকে পছন্দ করতেন না এবং মস্কোও তাকে পছন্দ করে না।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, তিনি (জনসন) আমাদের পছন্দ করেন না, আমরাও তাকে পছন্দ করি না। ক্রেমলিনের এই মুখপাত্র বলেছেন, জনসন শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন, এমন খবর ক্রেমলিনের জন্য সামান্য উদ্বেগের।

বৃহস্পতিবার আরও পরের দিকে জনসন পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। বরিস জনসন তার রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন বলে বিবিসি জানালেও দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন জনসন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বরিস জনসন। তবে আগামী শরৎকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এর ফলে চলতি গ্রীষ্মেই কনজারভেটিভ দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবরে টরি পার্টির সম্মেলনে নির্বাচিত নতুন নেতা জনসনের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।

১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র বলেছে, জনসন তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সাথে কথা বলেছেন। সূত্রটি বলেছে, গ্রাহাম ব্র্যাডির সাথে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অক্টোবরে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচনে পদত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন তিনি।

২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যে যখন করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম ঢেউ চলছিল, সেই সময় বেশ কয়েকজন অতিথির জন্য লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে নিজের সরকারি বাসভবনে পার্টির আয়োজন করেছিলেন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যের প্রথম লকডাউনের মধ্যে আয়োজিত সেই পার্টিতে শতাধিক অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন এবং সবাইকে যার যার মদ আনার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

পার্টিতে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ই-মেইলের মাধ্যমে। গত জানুয়ারিতে ইমেইলটি ফাঁস হয় এবং তা থেকে জানা যায় ২০২০ সালের ২০ মে আয়োজন করা হয়েছিল সেই গার্ডেন পার্টির। গণমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর পার্লামেন্টের বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরা জনসনের পদত্যাগ দাবি করেন। দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ভাটা পড়ে।

এর আগে, ডাউনিং স্ট্রিটের নীতি নির্ধারণী শাখার সাবেক প্রধান ক্যামিলা ক্যাভেন্দিস বিবিসিকে বলেছিলেন, ব্রিটেনে এখন আর কার্যকর কোনও সরকার নেই।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ