গাজীপুরের কাপাসিয়ার তরুণ সানাউল্লাহ সরকার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হোসেন, গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, আমিনুল ইসলাম ও মোসলেম উদ্দিন।
মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, সেলিম শেখ, নয়ন শেখ ও আনোয়ার হোসেন শেখ। যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- আবদুল মোতালেব ও শামসুদ্দিন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী পাওয়া যায়নি এবং আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এ কারণে হাইকোর্ট সবাইকে খালাস দিয়েছেন। তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, হাইকোর্টের এ খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করব।
এর আগে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে সানাউল্লাহ সরকারকে হত্যা করা হয়। স্থানীয় একটি স্কুল থেকে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সানাউল্লাহর ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচার শেষে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট এ মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আসামিরা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, আলম শেখ, সেলিম শেখ, নয়ন শেখ ও আনোয়ার হোসেন শেখ। আর আনোয়ারা বেগম, আবদুল মোতালেব ও শামসুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আলম শেখ ২০২১ সালে ও যাবজ্জীবন দেওয়া আনোয়ারা বেগম ২০১৯ সালে কারাগারে মারা যান।