গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম। আজ (২৬ আগস্ট) এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। যা, গত সপ্তাহে ছিল ৬৮০ টাকা। অন্যদিকে ২০ টাকা বেড়ে বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন খরচ বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একাধিক বাজারে এমন দেখা গেছে।
এদিকে মাংসের বাজারের এমন অস্থিতিশীলতায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা নিজদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস কীভাবে ৭০০ টাকা হয়ে যায়? সাধারণ মানুষের কাছে মাংস এখন আভিজাত্যের খাবারে পরিণত হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, বাজারে আসলেই মাথা ঠিক থাকে না। কোনোদিন শুনি না যে আজ এই জিনিসটার দাম কমেছে। গত সপ্তাহে মুরগি কিনেছি ১৬০ টাকা কেজি। আজ দেখি ১৮০ টাকা। গরুর মাংস ৭০০ টাকা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে আমরা না হয় কোনোভাবে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারতেছি। কিন্তু গরিব মানুষ তো এক পর্যায়ে না খেয়ে মরতে হবে। এভাবে পরিবার-সংসার চালাতে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, মাংসের দাম আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। অনেকেই হয়তো কিনতে পারছেন। কিন্তু দেশের মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে গরুর মাংস যেন স্বপ্ন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মাংস প্রতিদিন খাওয়া যায় না। শুক্রবারই একটু-আধটু নেই, সেটা রান্না করে খাই। কিন্তু এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমরা কিনতে পারি না। সবজির দাম বেড়ে গেছে কেজিপ্রতি ১০/১৫ টাকা। কয়েকদিনে সবকিছুই যেন আমাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু এগুলো দেখার কেউ নেই।
দামবৃদ্ধির প্রসঙ্গে মেরুল বাড্ডা কাঁচাবাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা আবু তাহের মোল্লা বলেন, দাম আসলে নির্ভর করে পরিবহন খরচের ওপর। তাছাড়া গরুর বাজারটাও এই সপ্তাহে চড়া। আমরাও চাই কম দামে বিক্রি করতে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নাই।
তিনি আরও বলেন, দাম কম হলে মানুষ বেশি কিনবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দাম বেড়ে গেলে আমাদের ক্রেতার সংখ্যাও কমে যায়।
মুরগির দামবৃদ্ধির প্রসঙ্গে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় ব্রয়লারের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে পরিবহন খরচও। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজ খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে কক ২৮০ টাকা ও প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।