গরুর মাংসের কেজি ৭০০, বিক্রিও কম

রমজান শুরু হতে আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। কিন্তু সংযমের এ মাসেও কমেনি নিত্য পণ্যের দাম। নাগালের বাইরে নিত্যপণ্যের পাশাপাশি মাংসের বাজার। শবে বরাতের সময় থেকে শুরু হওয়া বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীতে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বাজারের দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মহল্লার দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়তি থাকায় ক্রেতার উপস্থিতি কম। ফলে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে বিক্রিও কম হচ্ছে। করোনার সময়ের তুলনায় এ বছর মাংস বিক্রি কমেছে হচ্ছে।

আর ক্রেতারা জানান, শবে বরাতের আগে মাংসের কেজি ছিল ৬০০-৬২০ টাকা। এক লাফে দাম বেড়ে সেই মাংস বিক্রি হয় ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি ৫০-৮০ টাকা দাম বাড়ানো হয়।

তেজকুনিপাড়ার কাঁঠালতলার মাংস বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকা চলছে, খাসির মাংস ৯৫০ টাকা। অন্যান্য বছর রোজার আগের যেমন কাস্টমার থাকত, এবার তেমন নেই। বিক্রিও তুলনামূলক কম।

মুগদার মাংস বিক্রেতা লিটন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তারপরও বিক্রি কম। গরুর দাম এখন অনেক বেশি। দেশি গরুর মাংস ৭০০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লস হয়। আজ বিদেশি জাতের গরুর মাংস বিক্রি করছি ৬৫০ টাকা। আর দেশি গরু ৭০০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আনোয়ার বলেন, শবে বরাতের দিন থেকে মাংসের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

বেশি দামে মাংস বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। সংস্থাটির তথ্য মতে, শনিবার রাজধানীতে গরুর মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা। যা এক মাস আগেও ছিল ৬০০-৬২০ টাকা কেজি। এক বছর আগের একই সময়ের চিত্র ছিল আরও ভিন্ন। ওই সময় গরুর মাংসের কেজি ছিল ৫৬০-৬০০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে গরুর মাংস কেজিতে বেড়েছে ১০০-১৪০ টাকা।

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে হবে। কিন্তু কোথাও ৬৫০ টাকা, আবার কোথাও ৭০০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমদানিকারকদের হাতে চলে গেছে মাংসের বাজারের নিয়ন্ত্রণ। মাংসের বাজার অস্বাভাবিক। যে যার মত বিক্রি করছে, দেখার কেউ নেই।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ