ওয়াগনারের মস্কোগামী সৈন্য বহরে রাশিয়ার সামরিক হামলা

রাজধানী মস্কোর দিকে অগ্রসরমান ওয়াগনার সেনাদের বহরে গুলি ছুঁড়েছে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়াগনার সেনারা যেন মস্কোতে পৌঁছাতে না পারেন— সেজন্য শনিবার বিকেলে তাদের সেনা বহরে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোঁড়া হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) হঠাৎ করেই রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার। বাহিনীটির প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন দাবি করেন, শুক্রবার তার সেনাদের ওপর রকেট হামলা চালায় রুশ সেনারা। এর জবাবে ক্রেমলিনের সামরিক নেতৃবৃন্দকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে নিজ সেনাদের মস্কোর দিকে পাঠান।

শুক্রবার রাতে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার রোস্তোভ প্রদেশে প্রবেশ করেন ওয়াগনার সেনারা। পুরো বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন প্রিগোজিন নিজে। প্রথমে তারা রোস্তোভের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দখল করেন। এরপর মস্কোর দিকে আগানো শুরু করেন। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনী যে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছেন সেটি রোস্তোভের এই সদর দপ্তর থেকেই পরিচালনা করা হতো।

রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানিয়েছে, ওয়াগনার বাহিনীর বহরটি প্রথমে রোস্তোভ থেকে ভোরোনেজে আসে। এরপর সেখান থেকে মস্কোর দিকে আসতে থাকে। আর ঠিক তখনই হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোঁড়া হয়। ওই বহরটিতে সাঁজোয়া যান এবং অন্তত একটি ট্যাংক ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ট্যাংকটি একটি ট্রাকের ওপর ছিল। এই শহরটি মস্কো থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এদিকে ওয়াগনার সেনারা যেন কোনোভাবেই মস্কোতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মস্কোর বিখ্যাত রেড স্কয়ারে লোহার ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন এর আগে শনিবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এতে তিনি প্রিগোজিন ও তার বাহিনীকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিহিত করেন এবং বিদ্রোহ বন্ধ করার আহ্বান জানান।

তবে প্রিগোজিন পরবর্তীতে এক অডিও বার্তায় জানান, বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে পুতিনের ভুল ধারণা রয়েছে। তিনি দাবি করেন, তিনি ও তার বাহিনী বিশ্বাসঘাতক নয়, তারা দেশপ্রেমিক। এছাড়া রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ