উন্নয়ন প্রকল্প যত দ্রুত বাস্তবায়ন, তত বেশি সুবিধা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেগুলোর খরচ কম হবে সেগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। এরপর যথাযথ যাচাই-বাছাই করে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা যত দ্রুত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবো, তত বেশি সুবিধা পাবো।

বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেটা বেছে নিতে হবে। এখানে যেন দীর্ঘসূত্রিতা না হয়। প্রকল্পগুলো যেন বারবার বিলম্বের মুখে না পড়ে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রকল্প পরিচালকদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে গুরুত্বারোপ করতে হবেন।

তিনি আরো বলেন, কোনো উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণের সময় খেয়াল রাখতে হবে আমার দেশের জন্য কী প্রয়োজন। নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অহেতুক বড় আকারের প্রস্তাব গ্রহণ করা যাবে না। সেই প্রকল্পে কী পরিমাণ ব্যয় হবে, কী পরিমাণ ঋণ নিতে হবে, সেই ঋণের সুদ কত, সেই ঋণ পরিশোধ করা সক্ষমতা আমাদের আছে কিনা- এসব যাচাই বাছাই করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, চলমান যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে বিশ্বে একটা অর্থনৈতিকভাবে চাপ আছে। এজন্য আমরা যথাসময়ে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থছাড় করতে পারিনি। এছাড়া নির্বাচনের কারণে সব প্রকল্প একটু ধীর গতিতে চলেছে। এখন আর কোনো কাজ ধীরগতিতে করলে হবে না, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে আমরা কী কী সুবিধা পাব আর কোনটা আমাদের জন্য বেশি কার্যকর সেটা বাছাই করতে হবে। এছাড়া এলডিসি হিসেবে যে সুবিধাগুলো পেতাম সেগুলোর মধ্যে অনেক কিছুই আমরা আর পাবো না। এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে সেগুলো মোকাবিলার পথও ভেবে রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এই চিন্তাও মাথায় রাখতে হবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অর্থছাড় বা এর ব্যবহারের ফলে মূল্যস্ফীতি যেন আর না বাড়ে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমিয়ে আনবো সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। এছাড়া অর্জিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হবে। মূল্যস্ফীতি যেন কোনোভাবেই প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি না হয়। কৃষি, গ্যাস, বিদ্যুৎ প্রভৃতিতে ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, পাঁচ বছর টাইম ইজ টু শর্ট। সুতরাং পাঁচ বছর দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছি। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করতে হবে। দ্রুত কাজ করতে হবে। কারণ, আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে ঋণী ও কৃতজ্ঞ। বারবার তারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছি। স্বাধীনতার সুফল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারি সে লক্ষ্যেই আমাদের পথ চলা।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ