চীনের বেইজিংয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই লিওনেল মেসির সমর্থনে ঝড় তুলেছিলেন দর্শকরা। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছিল, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা যেন ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছে। তাদের হতাশ করেননি কাতার সোনালী ট্রফি ছিনিয়ে আনা দলটি। ম্যাচের মাত্র ১.২০ মিনিটে গোল করেই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দলটির বিশ্বজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। সেই গোলেই আকাশী-নীল জার্সিধারীরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে লিড নিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আরেক গোল করে জয় নিশ্চিত করেন জার্মান পাজেলা।
এদিন (১৫ জুন) সন্ধ্যা হতেই আর্জেন্টিনার জার্সি পরা চীনা দর্শকে ভরে ওঠে বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়া। এরপর বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ পরই এনজো ফার্নান্দেজের কাছ থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। তখন ম্যাচের বয়স মাত্র ১ মিনিট ২০ সেকেন্ড। যা আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের মধ্যে চতুর্থ দ্রুততম গোল। একইসঙ্গে ৩৬ বছরে পা দিতে যাওয়া মেসির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দ্রুততম গোল এটি।
ম্যাচের ৫ম মিনিটে আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ম্যাক অ্যালিস্টারের শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। এরপর অবশ্য সমতায় ফেরার সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ারও। ২৮ মিনিটে তাদের নেওয়া শট হাত দিয়ে ঠেকান এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তবে এরপরও বল গিয়ে গোলবারে লেগে ফিরে আসে।
পরবর্তীতে আরও একটি বড় সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমার্ধের মাঝমাঝি সময়ে তাদের শট ডি বক্সের ভেতর আর্জেন্টাইন এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ফিরে আসা বলে হাওয়ায় ভেসে শট নিয়ে তখন দলকে বিপদমুক্ত করেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। এরপর দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ শাণাতে থাকে। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না কেউ। শেষমেষ ১-০ ব্যবধানেই বিরতিতে যায় দুদল।