আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকা ছাড়ছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বাস, সিএনজি, রিকশা, প্রাইভেট কার, মোটরবাইকসহ যে যেভাবে পারছেন ছুটে চলছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। ফলে ঈদের তিন-চারদিন বাকি থাকায় অন্য যেকোনো সময়ের থেকে সড়কে যানবাহন বেড়েছে কয়েকগুণ। এদিকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে দেশের ঘরমুখো মানুষেরা একত্রিত হচ্ছেন রাজধানীর সায়দাবাদ, গাবতলী, গুলিস্তান, মিরপুর, মহাখালীসহ ছোট-বড় সব বাস কাউন্টারে। ফলে রাজধানীজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র যানজট।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর মতিঝিল, বাসাবো, কমলাপুর থেকে সায়দাবাদ পর্যন্ত, গুলিস্তান, তাতীবাজার, সদরঘাট, বাবুবাজার থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত, ফার্মগেট, আগারগাঁও থেকে মিরপুর পর্যন্ত, মিটফোর্ড হাসপাতাল হয়ে মোহাম্মদপুর থেকে গাবতলী, তেজগাঁও, মহাখালী থেকে বনানী ছাড়াও বেশিরভাগ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে।
একদিকে লাগাতার তাপদাহ অপরদিকে দীর্ঘ যানজটে ঘরমুখো মানুষের আনন্দের ঈদযাত্রা রূপ নিচ্ছে বিষাদে। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ২০০ টাকার চুক্তিভিত্তিক সিএনজি ভাড়া ৪০০ টাকা, ১৫০ টাকার বাইক ভাড়া ৩০০ টাকাসহ কিছু কিছু গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
মেটলাইফ ইনসুরেন্সে কর্মরত নিজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা হলো মুগদা থেকে বাসে উঠেছি পোস্তগোলায় যাবার উদ্দেশ্য। কিন্তু যাত্রাপথের অর্ধেকও পৌছাতে পারিনি। জানিনা কখন পৌঁছব। দীর্ঘসময় ধরেই বন্ধ হয়ে আছে বাস। আজ পবিত্র কদরের রাত। বাসায় গিয়ে নামাজ আদায় করব কিন্তু রাস্তাতেই সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।
ফরিদপুরগামী রেদোয়ান বলেন, দুই ঘণ্টা আগে রামপুরা থেকে রাইদা পরিবহনে উঠেছি। এখন মাত্র কমলাপুরে আসলাম। আগে তো বাস ধীরগতি হলেও চলেছে কিন্তু এখন সামনেই এগুচ্ছে না। ভেবেছিলাম রাত ১০টার মধ্যে বাসায় পৌঁছাতে পারব। এখন ১২টা বাজলেও পৌঁছানো যাবে না মনে হচ্ছে।
রাজশাহীগামী আরেক যাত্রী বাপ্পি বলেন, অনেক কষ্ট হচ্ছে গাড়িতে বসে থাকতে। সারাদিন রোজা রেখে এভাবে এত যানজট মাড়িয়ে যাওয়া খুব কষ্টকর। পরিবারের অন্য সদস্যরা আগে বাসায় গেলেও নিজের কিছু কাজ থাকায় আমার যেতে দেরি হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় ভীষণ ভোগান্তি। এই গরমে গাড়ি বন্ধ হয়ে থাকায় অসহ্য লাগছে সবকিছু।