ইফতার সামনে নিয়ে দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়

রোজা মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদত। এটা আল্লাহর দেওয়া বিশেষ সওগাত। মুসলমান হিসেবে সবার উচিত এ মাসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা, এ মাসে ইবাদত-বন্দেগি বেশি বেশি করা। সকল প্রকার, অন্যায়, অপরাধ, জুলুম-নির্যাতন, অশ্লীলতা ও বেহায়পনা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখাই হলো- রমজানের পবিত্রতা।

রমজানের পবিত্রতা শুধু মিছিল ও স্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সব ধরণের অন্যায়-অশ্লীলতা থেকে নিজেকে পরিশোধিত ও সংশোধন করতে হয় রমজান মাসে। লক্ষ্য রাখতে হবে, তাহাজ্জুদ, জিকির-আজকারও যেন না ছুটে। আল্লাহর কাছে ক্ষমাও চাইতে হবে।

ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হবে। এটি পড়লে পড়লে আল্লাহতায়ালা তার বান্দার পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেন-

يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ

উচ্চারণ: ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী।

অর্থ: হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। (শু‘আবুল ঈমান: ৩/৪০৭)

بِسْمِ اللهِ وَعَلى بَرَكَةِ اللهِ

বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা বারাকাতিল্লাহ বলে ইফতার শুরু করবে এবং ইফতারের পর নিম্নের দুটি দোয়া পড়বে-

اَللّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلي رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিযকিকা আফতারতু।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি, এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করলাম। (আবূ দাঊদ: ১/৩২২)

ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْـتَلَّتِ العُرُوْقُ وَثَبَتَ الاَ جْرُ اِنْ شَاءَ الله تَعَا لى
উচ্চারণ: যাহাবাযযমা ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহু তায়ালা।

অর্থ: পিপাসা দূরিভূত হয়েছে, ধমনীসমূহ সতেজ হয়েছে, এবং ইনশাআল্লাহ রোজার সওয়াব নিশ্চিত হয়েছে। (আবূ দাঊদ: ১/৩২১)

কারো দাওয়াতে ইফতারি করলে মেজবানের উদ্দেশে এই দোয়া পড়বে-

اَفْطَرَعندكم الصائمون واكل طعامكم الابرار وصلت عليكم الملئكة

উচ্চারণ: আফতারা ইনদাকুমুস সায়িমুন ওয়া আকালা তাআমুকুমুল আবরার ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা।

অর্থঃ আল্লাহ করুন যেন রোজাদাররা তোমাদের বাড়ীতে রোজার ইফতার করে এবং নেক লোকেরা যেন তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতারা যেন তোমাদের উপর রহমতের দু‘আ করে। (আসসুনানুল কুবরা, নাসাঈ ৬:৮১)

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ