বর্তমানে সীমিত ওভারের ফরম্যাটের কারণে টেস্ট ক্রিকেট সংকুচিত হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অনেকদিনের। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অর্থবিত্ত ও অপার সম্ভাবনার কারণে ক্রিকেটারদের মনোযোগ সেদিকেই বেশি। ফলে জাতীয় দলে খেলার চেয়ে তারা এসব টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়াকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। যার ফল হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট– বিশেষত ওয়ানডে ও টেস্ট নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদরা। তেমনই এক প্রসঙ্গ সামনে আসায় সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে আইসিসিকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
নতুন করে এই আলোচনা তৈরি হয়েছে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সারির দল ঘোষণা দেওয়ায়। ওই দলে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া নিল ব্র্যান্ডের এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই ঘটেনি। এছাড়া স্কোয়াডে থাকা ৭ ক্রিকেটারও তার মতো প্রথমবার ডাক পেয়েছেন। বাকি সাত ক্রিকেটারকেও ক্রিকেট বিশ্ব খুব কমই চেনে। এমন আনকোরা দল ঘোষণার পেছনে দায়ী করা হচ্ছে দেশটির ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএটোয়েন্টি-কে।
প্রোটিয়াদের নতুন এই স্কোয়াডের ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন সাবেক অজি অধিনায়ক ওয়াহ। যাকে তিনি টেস্ট ফরম্যাটের শেষের শুরু কি না সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের শেষের শুরু কি এসে গেল? আইসিসির পাশাপাশি ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের অবশ্যই খেলাটির বিশুদ্ধতম এই সংস্করণ রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত। সকল টেস্ট খেলোয়াড়ের সমান ম্যাচ ফি একটি ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবশ্যই মূল্য আছে। আমরা যদি শুধু লভ্যাংশকেই মানদণ্ড ধরে নিই, তাহলে (ডন) ব্র্যাডম্যান, (ডব্লিউজি) গ্রেস, (গ্যারি) সোবার্সের লিগ্যাসি মূল্যহীন হয়ে পড়বে।’
টেস্টেও ক্রিকেটারদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে তিনি কিছু পরামর্শও দিয়েছেন, ‘ফরম্যাটটি খেলতেখেলোয়াড়রা কেন আসছে না আমি বুঝি। তারা ঠিকমতো অর্থ পাচ্ছে না। আমি বুঝি না, আইসিসি বা শীর্ষ দেশগুলো যারা অনেক আয় করছে, তারা কেন টেস্ট ম্যাচের জন্য একটা ম্যাচ ফি নির্ধারণ করে দেয় না, যে পরিমাণটা হবে ভালো। যাতে সবাই টেস্ট ক্রিকেট খেলতে উৎসাহিত হয়। অন্যথায় তারা শুধু টি-টেন বা টি-টোয়েন্টি খেলবে। এতে দর্শক ভুগবে, কারণ পূর্ণাঙ্গ দল না খেললে এটি টেস্ট ক্রিকেট নয়।’