অর্থের অভাবে নিভে যাচ্ছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মো. হাসিবুর রহমান সাব্বিরের জীবনপ্রদীপ। তিনি দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রফেসর ডা. আব্দুল আজিজ আহমেদের তত্ত্বাবধানে হেমাটোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাব্বিরের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) করতে প্রায় ২২ লাখ টাকা প্রয়োজন। যা তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবান ও ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠিত সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছে সাব্বিরের চিকিৎসায় মানবিক সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
তারা জানান, ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হাসিবুর রহমান সাব্বিরকে ইতোমধ্যে দুই সাইকেল কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে তেমন উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা। তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাই চিকিৎসক বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) করার পরামর্শ দিয়েছেন যা খুবই ব্যয়বহুল।
সাব্বিরের বাবা বশির আলম একজন প্রান্তিক কৃষক। তিনি বলেন, ‘রোগ ধরা পড়ার পরপরই দুই সাইকেল কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে। এতে তেমন কোনো উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা এখন বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) কথা বলছেন। এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার মেয়ের সঙ্গে যদি রক্তসহ সবকিছু ম্যাচিং হয় তাহলে আনুষঙ্গিক খরচ ছাড়াও শুধু অপারেশনের খরচই ১৬ লাখ টাকা, এর সঙ্গে আরও কিছু খরচ আছে যা ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর যদি পরিবারের কারও সঙ্গে কোন কিছু ম্যাচ না করে তাহলে ডোনার নিয়ে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) করতে হবে। তাতে আরও বেশি টাকা লাগবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন-এর আগে কেমোথেরাপি দিতে আরও প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হবে ।
কেমো খরচ যোগাতেই আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে হয়েছে একাধিকবার বলেও জানান তিনি।
সাব্বিরের কৃষক বাবা এমন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তিনি দিশা পাচ্ছেন না কী করবেন। ছেলেকে সুস্থ করতে তিনি তার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে, দেশের সকল মানবিক মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন।
হাসিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে। হাসিবুর ঢাকা কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।
হাসিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা কলেজের বড় ভাইয়েরা একটি উদ্যোগ নিলেই আমার চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়। তারা অনেকেই অনেক সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত। তাদের কাছে আমার অসুস্থতার বার্তা গেলে তারা কেউ বসে থাকবেন না। তারা এগিয়ে আসবেন।
হাসিবুর রহমান সাব্বিরকে সহযোগিতা করতে তার বাবা বশির আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তার মোবাইল নম্বর ০১৭৩২৬৯৬৩৮১