রাজবাড়ীতে পূরবী ইসলাম (৪৫) নামে এক স্কুলশিক্ষিকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার (৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পূরবীর মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত পূরবী ইসলাম বসন্তপুর ইউনিয়নের কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। এ ঘটনায় তার স্বামী কোলা সদর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ বিশ্বাস ও এইচএসসি পড়ুয়া ছেলে তাহারাত হাসান লিমনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই সন্তানের জননী শিক্ষিকা পূরবী ইসলাম শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাতে নিজ বাড়ির সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেন। বাড়ির লোকজন বিষয়টি দেখে দ্রুত নামানোর আগেই তিনি মারা যান। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে পূরবীর বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি তাকে শারীরিক ও মানসিক চাপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েচে। নিহতের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নিহত পূরবী ইসলামের ছোট ভাই মেহেদী হাসান বলেন, আমার বোন প্রায় দুই যুগ ধরে শিক্ষকতা করেন। আমার ভাগনে অর্ণব মাদকাসক্ত। সে মাদকের টাকার জন্য তার মায়ের ওপর নির্যাতন করতো। দুলাভাই ফরহাদ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত বলে জানি। এ নিয়ে ফরহাদ বিশ্বাস আমার বোনকে মাঝেমধ্যে মারধর করতো। তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। ঘটনার দিনও আমার বোনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে তারা। আমার বোন কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। আমার বোনকে তার স্বামী ও ছেলে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
নিহত পূরবীর বোন ফাহিমা পারভীন জানান, তার বোনকে পরিকল্পিতভাবে স্বামী ও সন্তান মিলে হত্যা করেছেন। তিনি তাদের বিচার দাবি করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।