পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনের লম্বা ছুটি পাচ্ছেন আরব আমিরাতের সাধারণ মানুষ। লম্বা এ ছুটিতে অনেকে ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা করছেন। অনেকে আবার এই ছুটি ধর্মের পথে ব্যয় করার চিন্তা করে ছুটছেন পাশের দেশ সৌদি আরবে। সেখানে তারা পবিত্র উমরাহ পালন করবেন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে আরব আমিরাত থেকে অনেক মানুষ সৌদি আরবে গেছেন।
খালিজ টাইমসের সঙ্গে কথা হয় শারজার বাসিন্দা রহমত আলীর। পেশায় দর্জি রহমত জানিয়েছেন, দুই বছর ধরে উমরাহ পালনের পরিকল্পনা করছেন। এবার লম্বা ছুটি পড়ায় নিজের স্বপ্ন পূরণে সৌদি যাবেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা না করে, আমি ভিসার আবেদন করি ও ২৮ সেপ্টেম্বরের বিমানের টিকিট কাটি। এ সপ্তাহে আমি শুক্রবারের জুম্মার নামাজ আদায় করব পবিত্র স্থানে। আমি এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’
হজের মৌসুম ছাড়া বছরের যে কোনো সময় উমরাহ পালন করা যায়। আর সৌদির পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আরব আমিরাত থেকে অনেক মানুষ প্রায় প্রতি সপ্তাহে উমরাহ করতে যান। তবে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, এ সপ্তাহে তাদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
রেহান আল-জাজিরা ট্যুরিজমের কর্মকর্তা শিহাব পারওয়াদ বলেছেন, ‘আরব আমিরাতে সবসময় উমরাহর ডিমান্ড থাকে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, এ সপ্তাহে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। তারা সৌদি আরব গিয়ে ধর্মীয় কাজে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করছেন।’
আরব আমিরাত থেকে সড়কপথে বাসে করেও সৌদি যাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ মানুষ বিমানে করে যাতায়াত করেন।
ট্রাভেল এজেন্সির অপর কর্মকর্তা জাফর পুলাপাত্তা, যিনি দলবদ্ধ উমরাহ যাত্রীদের উমরাহ করার ব্যবস্থা করে থাকেন, তিনি জানিয়েছেন, সৌদি ভিসা প্রক্রিয়া অনেক সহজ করে দিয়েছে। যার ফলে আমিরাতের বাসিন্দারা আবেদনের মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে মাল্টিপল ই-ভিসা পেয়ে যান। আর ভিসা সহজ হয়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় বেশি মানুষ উমরাহ করতে মক্কায় যাচ্ছেন।