বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সেরা অর্জন ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে দুর্দান্ত কেটেছিল সেই বিশ্বকাপের আসর। ২০১৯ বিশ্বকাপে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে গেলেও সফল হতে পারেনি টাইগাররা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বেশ ছন্দে আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দেশের সঙ্গে দেশে বাইরেও সাফল্য মিলছে। যেহেতু ভারতের মাটিতে হবে এবারের বিশ্বকাপ, এজন্য এবার বেশ বড়সড় স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ দল।
তবে মাশরাফি মনে করনে, শুধু ভালো খেললেই বিশ্বকাপ জেতা যায় না, বিশ্বকাপ জিততে হলে ভাগ্যেরও প্রয়োজন।
মিরপুরে আজ (রোববার) সংবাদমাধ্যমকে মাশরাফি বলেন, ‘বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ভাগ্য প্রয়োজন। শুধু ভালো খেললে বিশ্বকাপ জয় হয় না। ২০১৯ এর বিশ্বকাপের পর আমি বলেছিলাম- বিশ্বকাপ জেতার মতাও এই দলটার সম্ভাব্য সব কিছুই আছে। তবে এজন্য অবশ্যই খেলোয়াড়দের ফিট থাকতে হবে। এখনও কিন্তু দেড় বছর বাকি। তার আগে অনেক ম্যাচ আছে, সিরিজ আছে। সেগুলোও ভালোভাবে শেষ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপের আগে ফর্মে থাকা ও সুস্থ থাকাও জরুরী।’
তবে বিশ্বকাপ না জিতলেও অধিনায়ক তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ অন্তত সেমিফাইনালে খেলবে বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘সেমিফাইনাল পর্যন্ত বলা যায় এই দল উঠবে, এটা আমার বিশ্বাস। যেহেতু ভারতে খেলা। এরপর শুধু ভালো খেললেই হবে না। সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল জিততে হলে ভাগ্যেরও দরকার আছে।’
সম্প্রীত ওয়ানডে ফরম্যাটে বেশ আধিপত্য বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকায় ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। আইসিসি সুপার লিগে ১৮ ম্যাচে ১২ জয়। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে অবস্থান। তবুও উন্নতির জায়গা দেখছেন মাশরাফি।
মাশরাফি বলেন, ‘উন্নতির তো আসলে শেষ নেই। একটা দল যখন ভালো খেলা শুরু করে, তখন কিছু দুর্বল জায়গাও থাকে। বড় টুর্নামেন্টে যত কম ভুল করবে ততো ভালো। এই ওয়ানডে দল ২০১৫ সাল থেকেই ভালো খেলছে। একটা ছন্দ চলে এসেছে। এই ছন্দ মস্তিস্কেও কাজ করে যখন দল ওয়ানডে খেলতে নামে। এটা খুব ভালো সুযোগ।’
সঙ্গে যোগ করেন মাশরাফি, ‘আমাদের জন্য এটাই আশাবাদী হওয়ার মত ফরম্যাট। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই ফরম্যাটে ভালো খেলছি আর ৪ জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে যারা প্রায় ১৩-১৪-১৫ বছর খেলছে। চারজনের অভিজ্ঞতা মেলালে প্রায় ৬০ বছর। লিটন, তাসকিনদেরও ৭-৮ বছর হয়ে গেছে, মানে এখন ওদের পারফর্ম করার সময় এবং করছেও তারা।’