বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচনে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিনের একক প্যানেল ছিল। কোনো পদের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী না থাকায় তুহিনের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষিত হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ায় নির্বাচন ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সেই লড়াইয়ে আদালত নির্বাচনের কর্মকাণ্ড এক মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে।
আজ (বুধবার) হাইকোর্টে বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে শুনানি হয়েছে। উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক শুনে আদালত নো অর্ডার দিয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন কর্মকর্তা কবিরুল হাসান এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আদালত নো অর্ডার দিয়েছে। ফলে এক মাসের স্থগিতাদেশই বহাল থাকছে।’
সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস ১২টি ভোটারের উপরের আপত্তি দিয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। নির্বাচন সেই আপত্তি যাচাই বাছাই করে ৬টি বাদ দেয়। বাকি ৬টির বৈধতা দেয়ায় কুদ্দুস আদালতে রিট করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
আজ আদালত থেকে নো অর্ডার আদেশ আসায় বক্সিংয়ের নির্বাচন ঝুলে গেল। ঈদের ছুটির পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইনী বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আগামী জুলাইয়ে কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেবেন বক্সাররা। এর আগে ফেডারেশনের নির্বাচন জটিলতায় এই প্রস্তুতিতে খানিকটা হলেও ব্যঘাত ঘটতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।