প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অবরুদ্ধ করে তিনদিন আগে নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে পূর্ব আফ্রিকার এ দেশটির সামরিক অভ্যুত্থানকে মেনে নেয়নি আফ্রিকারই অন্য দেশগুলো। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও ক্ষমতা ছেড়ে দিতে অভ্যুত্থানকারীদের ওপর চাপ দিচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব আফ্রিকার ১৫ দেশের জোট ইকোনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোয়াস) রোববার (৩০ জুলাই) জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। এই বৈঠকে নাইজারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা— এমনকি সামরিক হস্তক্ষেপের মতো কঠোর সিদ্ধান্তও আসতে পারে।
আর এমন আশঙ্কার মধ্যে ক্ষমতা দখলকারী সেনারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে জান্তা মুখপাত্র কর্নেল আমাদু আব্দররমান বলেছেন, ‘ইকোয়াসের বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো— অন্যান্য আফ্রিকান দেশ এবং পশ্চিমাদের নিয়ে—নাইজারের বিরুদ্ধে একটি সামরিক হস্তক্ষেপের অনুমোদন দেওয়া।’
‘মাতৃভূমিকে রক্ষায় আমাদের দৃঢ় চেতনার ব্যাপারে আমরা ইকোয়াসসহ অন্যান্যদের আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চাই।’
শনিবারই অভ্যুত্থানকারী সেনারা আরেকটি বিবৃতি দেয়। এতে তারা সাধারণ মানুষকে রোববার সকাল ৭টা থেকে ইকোয়াসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানায়।
অভ্যুত্থানের পর প্রেসিডেন্ট বাজোয়ামের সরাসরি কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও পশ্চিমা দেশগুলো জানিয়েছে তারা এখনো বাজোয়ামকেই নাইজারের বৈধ প্রেসিডেন্টের স্বীকৃতি দেয়।
শনিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ফ্রান্স নাইজারে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করার ঘোষণা দেয়।