কেশভ মহারাজের করা লেংথ বল কাট করে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ফেলে দৌড়ে ২ রান নিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় টেস্টেই পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরির স্বাদ। জয়ের অনবদ্য শতকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে খরা ঘুচলো বাংলাদেশ দলের। সাদা পোশাকের কেতাবি সংস্করণে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এর আগে ব্যক্তিগত কোনো শতক ছিল না টাইগারদের। এবার সেটিও এল দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাঠেই।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা খুব বেশি বড় নয় জয়ের। এখনো চার মাস ছোঁয়নি। গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে অভিষেক ক্যাপ পান। নিউজিল্যান্ডে খেলেন দ্বিতীয় টেস্ট। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ঐতিহাসিক কিউই বধের পার্শ্বনায়ক তিনি। ধৈর্য, স্কিল আর পরিণত মানসিকতার ছাপ সেদিনই দিয়েছেন জয়। এবার ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেকে চেনালেন আরেকবার। অনবদ্য সেঞ্চুরিতে জয় বার্তা যেন দিলেন, টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট হাতে আধিপত্য দেখাতে এসেছেন তিনি।
জয়ের এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অলরাউন্ডার ভার্নন ফিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকায় উপস্থিত বাংলাদেশের সংবাদিকদের ফিল্যান্ডার বলেন, ‘জয় অনেক মেধাবী। কঠিন কন্ডিশন, অনেক ব্যাটসম্যান সাজঘরে, এমন পরিস্থিতিতে দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। সে বিস্ময়কর প্রতিভা। এখন মাত্র ২১ বছর বয়স, আমি মনে করি তার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।’
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে যেখানে ব্যাট হাতে দিশেহারা সতীর্থরা, সেখানে নিজের টেস্ট ‘টেম্পারমেন্টের’ উত্তম প্রতিফলন দেখিয়ে একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জয়। ডানহাতি ওপেনার ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়েই ১৭০ বলে অর্ধশতকের দেখা পান। পরে সেই ফিফটিকে রূপ দিলেন তিন অঙ্কে। পরের ৫০ রান করতে খেলেছেন আরো ৯৯ বল। ২৬৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ১০টি চারের সঙ্গে ছক্কা মারেন ১টি।
জয়ের সেঞ্চুরি হাঁকানো দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কল্যাণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে লড়াই করছে বাংলাদেশ।