এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে খাতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৩৯৯ শিক্ষার্থী। এক পরীক্ষার্থী ফেল থেকে শুধু পাসই নয় জিপিএ-৫-ও পেয়েছেন। গ্রেড বদলে নতুন করে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩১৫ জন।
শুক্রবার (১০ মার্চ) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি বোর্ডের প্রকাশিত পুনর্নিরীক্ষণের ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনর্নিরীক্ষণে নতুন করে কোনো উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের যোগ-বিয়োগগুলো দেখা হয়। পরীক্ষকদের গাফিলতির কারণে এমনটি হতে পারে।
টানা তিন বছর ধারাবাহিক গাফিলতির কারণে ২০১৯ সালে ১ হাজার ২৬ পরীক্ষককে শাস্তির আওতায় আনে শিক্ষাবোর্ড। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বোর্ডের আইন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। অভিযুক্ত বেশিরভাগ পরীক্ষককে কালো তালিকাভুক্ত, কাউকে সারা জীবনের জন্য কোনো বোর্ডের পরীক্ষক হতে না পারার মতো শাস্তি দেওয়া হয়। যেসব পরীক্ষক খাতা মূল্যায়নে কেলেঙ্কারি বা ক্রাইমে যুক্ত হন, তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ এবং চাকরিচ্যুতিও করা হয়।
জানা গেছে, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের ৪টি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো— উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা ও প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কিনা।আন্তঃবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার বলেন, পুনর্নিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন স্বাভাবিক ঘটনা। এ সংখ্যাটি নির্দিষ্ট পার্সেন্টের বাইরে গেলে পরীক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা প্রকাশ করা হয়। এবার পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন। এবার সারাদেশে গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।