আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে বিস্ফোরিত হওয়া ডুবেযান টাইটানের পরিচালনাকারী সংস্থা ওশেনগেট তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে।
গত ১৮ জুন পাঁচ আরোহী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে ডুব দিয়েছিল টাইটান। সাগরের অতল গভীরে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ডুবোযানটিতে চড়েছিলেন ওই পাঁচ আরোহী।
তাদের মধ্যে ছিলেন ওশেনগেটের সিইও স্টকটন রাস, যানটির পাইলট ফরাসি সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ পল হেনরি নারগেলট, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ এবং ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং।
গত সপ্তাহে বিশেষজ্ঞরা সাগরের নিচ থেকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ তুলে আনেন। সেগুলো টাইটান জাহাজের সামনের দিকের ১ হাজার ৬০০ মিটার দূরে পড়ে ছিল।
উদ্ধারকৃত ধ্বংসাবশেষগুলো নিয়ে যাওয়া হয় কানাডার সেন্ট জনস নিউফাউন্ডল্যান্ডে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ডুবেযানের ভেতর মানুষের দেহাবশেষও পাওয়া গেছে বলে ধারণা করছেন তারা।
এদিকে টাইটান ডুবোযানটি সমুদ্রের নিচে যাওয়ার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর— উপরে থাকা জাহাজের সঙ্গে এটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় বিশাল উদ্ধার অভিযান। যা টানা চারদিন চলেছিল।
ভয়ানক এ সমুদ্র যাত্রায় টাইটানের যাত্রীদের প্রত্যেককে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছিল। যা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই কোটি টাকারও বেশি।