রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের একটি জ্বালানি তেল শোধনাগারে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৪ সালে বিনা রক্তপাতে রুশ বাহিনীর দখলকৃত উপদ্বীপটির গভর্নর জানিয়েছেন, তাদের ধারণা এটি একটি ড্রোন হামলা।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) চালানো এই হামলায় তেল শোধনাগারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগকৃত গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘প্রাথমিক খবরের তথ্য অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সম্ভবত ড্রোন হামলার কারণে।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপরই ক্রিমিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সেভাস্তোপোলে গত কয়েক মাসে অসংখ্যবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা এসব হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন।
এদিকে ক্রিমিয়ায় নতুন হামলার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রাশিয়া অথবা রাশিয়ার অধিকৃত-দখলকৃত অঞ্চলে কোনো হামলার ঘটনা ঘটলে সেগুলো নিয়ে একেবারেই কোনো মন্তব্য করেন না দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা।
ক্রিমিয়ার গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ জানিয়েছেন, শনিবারের এ হামলায় কেউ হতাহত হননি।
তিনি বলেছেন, ‘পরিস্থিতি আমাদের ফায়ার ফাইটার বেং সেখানে কাজ করা সকল ইউনিটের নিয়ন্ত্রণে আছে। যেহেতু আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি, সেটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লাগবে।’
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বড় শহরগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এরপরের দিনই ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল।