রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৯ জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। একই সঙ্গে বাস দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। এ সময় আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসার খরচ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তদন্ত কমিটি গঠন ও অনুদান প্রদান প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আসিফ আহসান বলেন, দুই বাসের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসার খরচ জেলা প্রশাসন থেকে বহন করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।
এর আগে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের খারুভাজ সেতুর কাছে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা যান। আহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২০ জন রমেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় মিলেছে।
নিহতরা হলেন- তারাগঞ্জের হাড়িয়ালকুঠি এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৫), সৈয়দপুরের কুণ্ডল এলাকার মহসিন হোসেন ( ৪২), পল্লী চিকিৎসক আনিছুর রহমান (৪৮), ধনঞ্জয় রায় (২৭), জীবন রহমান (২৮), সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অলিউল হাসান জুয়েল (২২) ও গাইবান্ধার সাদেক আলী (৬৫)। অপর দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলেও জানান তিনি।