যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় কেনটাকি রাজ্যের অ্যাপালাচিয়ায় আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারই কেনটাকিতে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে। এই বন্যায় সেখানকার অনেক বাড়িঘর বন্যার পানিতে ভেসে গেছে, আটকা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন। তিনি বলেছেন, শত শত বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্যায় ডুবে গেছে।
শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কেনটাকিতে বন্যাকে ‘বড় বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে স্থানীয় উদ্ধারকারীদের সহায়তা করার জন্য ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বন্যায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৬ জন শিশু আছে; যাদের মধ্যে একজনের বয়স এক বছর।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কেনটাকির বন্যার মতো চরম বৈরী আবহাওয়ার ঘটনা ঘটছে। দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের হেলিকপ্টারে করে কেনটাকির গভর্নর বেসিয়ার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কেনটাকির বন্যাকে এযাবৎকালের ‘সবচেয়ে ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
বেসিয়ার বলেছেন, এখনও অনেক মানুষ বন্যায় আটকা আছেন। এছাড়া আরও অনেক মানুষের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তাদের সবাইকে খুঁজে বের করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ইতোমধ্যে শত শত মানুষকে নৌকা এবং হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বন্যা কবলিত এলাকায় ব্যাপক দারিদ্রতা দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার কমপক্ষে ৩৩ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় কিছু কিছু এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। অনেক এলাকার সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
বেসিয়ার বলেছেন, অ্যাপালাচিয়ায় এর আগেও আকস্মিক বন্যা হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো ভয়াবহ বন্যা কখনই দেখা যায়নি।