বহুজাতিক নৌ টাস্কফোর্স হুতিদের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করলো

ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ১৮টি ড্রোন ও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) লোহিতসাগরে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের পথে চলা জাহাজগুলো লক্ষ্য করে এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এএফপির খবর।

যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে, লোহিতসাগরের দক্ষিণে ইয়েমেন নিয়ন্ত্রিত অংশ থেকে ইরান সমর্থিত হুতি গ্রুপ ইরানের তৈরি ড্রোন, জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংসের এই অভিযানে ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং একটি ব্রিটিশ ও তিনটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার থেকে পরিচালিত এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। তবেএখনো কোনো আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানায় সেন্টকম।

এর আগে হুতিদের আক্রমণ থেকে লোহিত সাগরের জাহাজগুলো রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে একটি বহুজাতিক নৌ টাস্কফোর্স গঠন করেছিল।

বহুজাতিক নৌ টাস্কফোর্স লোহিতসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য হুতিদের সতর্ক করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ১২টি দেশের সম্মিলিত বাহিনীর এই সতর্কবার্তার এক সপ্তাহ পরে ঘটল এই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের ঘটনা।

ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গ্রুপ হুতি এর আগে বলেছিল, তারা জাতীয়তা-নির্বিশেষে ইসরায়েলে ভ্রমণকারী যেকোনো জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করবে। গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ হিসেবে হুতিরা এই অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক পশ্চিমা দেশ যৌথভাবে লোহিতসাগরের দক্ষিণ প্রান্ত ও এডেন উপসাগরে টহলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে বহুজাতিক টহল কোনো কাজে আসবে না বলে দাবি করেছিল হুতিরা। সংগঠনটির একজন সিনিয়র নেতা তখন বলেন, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক জোট গঠন লোহিতসাগরে হুতিদের জাহাজ আক্রমণ করা থেকে থামাতে পারবে না।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ