ঢাকায় আজ (শুক্রবার) রাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দিনে রাজধানীতে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সব মিলিয়ে আজ ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০ জুন পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত চলতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে আসতে পারে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রব্ল বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষার্ধ্বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্দ্বীপে ২৬১ মিলিমিটার।
এ দিকে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮১১ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পৃথিবীতে যেসব অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় তার একটি হলো চেরাপুঞ্জি।
এ বৃষ্টির পর আকস্মিক বন্যায় ডুবেছে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের একটি অফিস আদেশে, ভারতের মেঘালয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে এ জেলায় (সুনামগঞ্জ) নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির বড় রকমের অবনতি হয়েছে সিলেটে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।