জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আবারও কাশ্মির সংকট নিয়ে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ সময় ভারত-পাকিস্তানের মাঝে সংলাপ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এই সংকটের সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে কাশ্মিরে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হলে তা দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবে।
তিনি বলেন, তুরস্ক এই বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে জি-২০ জোটের সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ওই সময় উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
নয়াদিল্লিতে মোদির সাথে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কাশ্মির ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘে আলোচনা করলেন।
এরদোয়ান বলেছেন, এটা গর্বের বিষয় যে ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হিসাবে পাঁচটি এবং ১৫টি অস্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এই ১৫টি দেশকেও পর্যায়ক্রমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই ২০টি দেশকে (৫+১৫) পর্যায়ক্রমে ইউএনএসসির স্থায়ী সদস্য করা উচিত। কারণ আপনারা জানেন, বিশ্ব এখন এই পাঁচ দেশের চেয়েও বড়। আমরা যখন বলি বিশ্ব পাঁচের চেয়ে বড়, তখন আমরা যা বোঝাতে চাই তা হল এটা কেবল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন এবং রাশিয়া নয়।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উচ্চ-পর্যায়ের সব বৈঠকে বিশ্ব নেতাদের সামনে কাশ্মির ইস্যু নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে। গত বছরও সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কাশ্মির ইস্যু উপস্থাপন করেছিলেন তিনি।
গত বছর এরদোয়ান বলেছিলেন, ‘৭৫ বছর আগে ভারত এবং পাকিস্তান তাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করলেও তারা এখনও পরষ্পরের মাঝে শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করছি, কাশ্মিরে ন্যায় এবং স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।’