ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পর তেল ট্যাঙ্কারবাহী রেলে আগুন ধরে যায় এবং সেতুর একাংশ ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রাশিয়া সেতু নাশকতার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করলেও কিয়েভ সরাসরি কোনও দায় স্বীকার করেনি।
২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। পরে এই দ্বীপের সাথে রাশিয়ার সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ক্রিমিয়া দ্বীপ দখলে নেওয়ার চার বছর পর সেতুটিকে রাশিয়ার পরিবহন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মহা ধুমধাম করে সেটির উদ্বোধন করেছিলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে এই সেতু রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক সরবরাহ রুটে পরিণত হয়েছে। কারণ ইউক্রেনের দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা রুশ সৈন্যরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তাদের কাছে অস্ত্র ও সামরিক রসদ পাঠানোর অন্যতম পথ ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দীর্ঘ এই সেতুটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়ার জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি বলেছে, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৭ মিনিটে ক্রিমিয়া সেতুতে একটি মালবাহী ট্রাকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর ফলে উপদ্বীপের দিকে চলন্ত ট্রেনের সাতটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারে আগুন ধরে গেছে।