ঈদ-উল-ফিতরের চাঁদ উঠার আগেই মাংসের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি বাড়ানো হয়েছে ৫০ টাকা। লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি কেজিতে দাম বাড়িয়েছে ৩০ টাকা।
ঈদকে কেন্দ্র করে কারসাজির মাধ্যমে মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। বিষয়টি স্বীকার করছে ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছে, ঈদের কারণে মাংসের চাহিদা বেশি। চাহিদা বাড়ায় মাংসের টান পড়েছে। ফলে বেশি দামে গরু ও মাংস দুটোই কিনে আনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
সব কিছু যাচ্ছে ক্রেতাদের ওপর দিয়ে। ক্রেতারা বলেন, মুরগি, গরু খাসি সব মাংসের দাম বাড়ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে। খেতে হলে কিনতে হবে, উপায় নেই।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে। অথচ বুধবারও কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার দিনে দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
মালিবাগ বাজারে আসা আসমা আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে দাম বাড়তে পারে শুনে মাংস কিনতে এসেছি। এসেই দেখি দাম বেড়ে গেছে। ৫ কেজি মাংস কিনেছি ৮০০ টাকা কেজিতে। অথচ এ মাংসই গত সপ্তাহ ৭২০ টাকা কেজিতে কিনেছি। এটা কী ভাবা যায় বলেন? রীতিমতো ব্যবসার নামে ডাকাতি চলছে।
মালিবাগের ছানাউল্লাহ গোস্তবিতানের দোকানদার শাফিউল্লাহ বলেন, কলিজা-হাড়সহ গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করছি ৮০০ টাকায়। যদি কেউ কলিজা না নিতে চায় তবে শুধু মাংস ও হার নিতে পারবে ৮০০ টাকা কেজিতে।
তিনি বলেন, গতকাল ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, আজকে ৮০০ টাকা কেজি। ঈদ ঘনিয়ে আসায় গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। আজকে গরু প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেড়েছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এ দাম বা তার চেয়ে বেশি দামে গরুর মাংস কিনতে হবে। কাস্টমার কেজিতে ৫০ টাকা করে বেশি দামে কিনছে।