আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে গত রোববার নিখোঁজ হয় ডুবোজাহাজ টাইটান। ছোট আকৃতির এ যানটিতে দু’জন ক্রু এবং তিনজন যাত্রী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে একজন হলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং।
তারা সবাই আটলান্টিকের নিচে পড়ে থাকা বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ দেখতে গিয়েছিলেন।
হামিসের পরিবারের সদস্যরা তার নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া হামিস নিজেও সমুদ্রের তলদেশে যাওয়ার আগে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছিলেন। এতে তিনি জানিয়েছিলেন, তাদের সমুদ্র অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, ক্রু ছাড়া যেসব সাধারণ যাত্রী ডুবোজাহাজটিতে ছিলেন তাদের প্রত্যেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আড়াই কোটি টাকারও বেশি।
সমুদ্র অভিযানবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা ওশেনগেট— অর্থের বিনিময়ে ‘দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের’ সাগরের ১২ হাজার ৫০০ ফুট নিচে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজের কাছে ঘুরিয়ে আনে।
ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিংও সেসব দুঃসাহসিকদের একজন ছিলেন। তিনি বিমান বিক্রির ব্যবসা করার পাশপাশি পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়াতেন।
হামিস হার্ডিং অন্তত দুইবার দক্ষিণ মেরুতে গিয়েছিলেন। ২০২২ সালে ব্লু অরিজিনের ক্যাপসুলে করে ঘুরে এসেছিলেন মহাকাশ থেকেও। এছাড়া সাবমেরিনে করে পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চেও গিয়েছিলেন তিনি। যেখানে সবচেয়ে বেশি সময় অবস্থান করার বিশ্বরেকর্ডটিও রয়েছে তার দখলে।
এদিকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সহায়তায় তৈরি ওশেনগেটের এ ডুবোজাহাজটি, ২০১৭ সাল থেকে টাইটানিকের কাছে যাওয়ার অভিযান শুরু করে। তবে এটি প্রথমবার সফল হয় ২০২১ সালে।
ওশেনগেট জানিয়েছে, নিখোঁজ ডুবোজাহাজটি খুঁজে বের করতে তারা সব ধরনের চেষ্টা করছে। জাহাজটিতে ওই সময় কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।