পাগলা মসজিদে নয়টি দানবাক্স থেকে এবার ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে; যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
এর পাশাপাশি স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রাও আছে।
শনিবার সকাল থেকে গণনা শেষে রাতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে মসজিদের নয়টি দানবাক্স খোলা হয়। এতে মোট ২৩ বস্তা টাকা হয়।
জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আটটি দানবাক্স থাকলেও এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা নয়টি। এবার ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। গণনার কাজে প্রায় ২০০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছে।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ. টি. এম ফরহাদ চৌধুরী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য অংশ নেন।
৩ মাস ২০ দিন আগে ১৯ অগাস্ট এই মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তা টাকা থেকে ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।