মানিকগঞ্জের ঘিওরে আনসার সদস্যের গলা কেটে হত্যা করল সহকর্মী

মানিকগঞ্জের ঘিওরে কুদ্দুস মিয়া (৪০) নামের এক আনসারী (ভিডিপির) সদস্য’কে বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে তার সহকর্মী আনসার ভিডিপির সদস্য । এই ঘটনায় অপর ঘাতক আসামি আনসার ভিডিপির সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আসামি শাহিনুর ইসলাম ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরী গ্রামের পান্নু মিয়ার ছেলে।

শনিবার (২৩ জুলাই) ভোরে ঘিওর উপজেলার আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে সড়কে এ হত্যাকান্ডে ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।

নিহত আনসার ভিডিপি সদস্য কুদ্দুস মিয়া দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের বড়হাতকোড়া গ্রামের মৃত বদরুদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভোরে স্থানীয় কয়েকজন প্রাত ভ্রমণের সময়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে ঝোপে প্লাস্টিকের বস্তা বন্দী একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে বস্তা খুলে আনসার সদস্যের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।

জেলা আনসার ভিডিপির কমান্ডার ইফতেখারুল জানান, নিহত আনসার ভিডিপির সদস্য উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের গুদাম ঘরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। এ হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ, র‌্যাব ,ও পুলিশ অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শন করেছেন।

নিহত কুদ্দুস মিয়াার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী অনেক কষ্ট করে তাদের সংসার পরিচালনা করতেন। আনসারে চাকুরী করার পাশাপাশি বাইক চালাতেন। দুটি ছেলে সন্তানের মধ্যে আমার একটি সন্তান প্রতিবন্ধী। তার বাবার মৃত্যু বাষির্কীতে পালন করে বাসায় আসার পরেই তাকে খুন করা হলো। আমি এখন সন্তানদের নিয়ে কাথায় গিয়ে দাড়াব। আমি আমার স্বামীর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচার চায়।

শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী জানান, সকাল ৭ টার দিকে খবর পাই ঘিওর উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে একটি বস্তাবন্দি লাশ পড়ে আছে। পরে বিভিন্ন সিমটম দেখে তাকে সনাক্ত করা হয় তিনি আনসার সদস্য। তখন ঘটনাস্থল থেকে তার সহযোগী অপর একজন আনসার সদস্য শাহিনুর ইসলাম (২৬) নামের এক ব্যক্তি আটক করা হয়েছে। আটকের পর ওই আনসার সদস্য হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, ঘাতক আনসার ভিডিপির সদস্য শাহিনুর ইসলাম আটকের পর জিজ্ঞাবাদে জানান টাকা পয়সা লেনদেনের বিরোধে হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান। এ ব্যাপারে নিহত আনসার ভিডিপি সদস্য কুদ্দুস মিয়া স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘিওরে ইদানিং হত্যা,খুনসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ আশংকাজনক ভাবে বেড়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ