মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। তবে শেষবারের মতো এবারের এজিএম নিয়ে তেমন কোনো উত্তাপ নেই বোর্ডের ভেতরে বা বাইরে। ২০২১ সালে এজিএম হয়েছিল নির্বাচনের আগে, সেজন্য আলোচনা ছিল আকাশচুম্বী। এবার নির্বাচনের পর এজিএম হওয়ায় সেই উত্তাপ আর নেই।
চলতি বোর্ডের এটি প্রথম এজিএম। দুপুর ১২টায় শুরু হতে যাওয়া এই এজিএমের গঠনতন্ত্রে আসছে বেশকিছু পরিবর্তন। কাউন্সিলরদের কাছে যে সংশোধিত গঠনতন্ত্র পাঠানো হয়েছে, সেখানে কয়েকটি সংশোধনি প্রস্তাব রয়েছে। জানা গেছে, প্রতি বিভাগের কাউন্সিলররা মিলেই নিজেদের বিভাগীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সাজাবেন।
এর বাইরে ঢাকার ক্লাবগুলোর কাউন্সিলরশিপেও আসছে রদবদল। বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের ছয়টি দল থেকে দুজন করে প্রতিনিধি বিসিবির কাউন্সিলর হতে পারেন। এখন সব ক্লাব থেকেই একজন করে কাউন্সিলর রাখার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এবারের এজিএমে আলোচনায় কোন বিষয়গুলো উঠতে পারে তার একটি ধারণ দিয়েছেন বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু।
এজিএমের আলোচ্য বিষয়-
এজিএমে আমাদের সারা বছরের যে নির্ধারিত কর্মকাণ্ড থাকে সেগুলোর এপ্রুভ নেওয়া এবং এর আগে যে এজিএম হয়েছে সেগুলোর এপ্রুভাল নেওয়া। আমাদের আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো তৈরির একটা পরিকল্পনা আছে সেটার এপ্রুভাল করা। বাজেট আছে সেগুলো এপ্রুভ করা। সাধারণ পরিষদের সভায় যে ধরণের এজেন্ডা গুলো থাকে এগুলোই হচ্ছে মেইন। এর সাথে রিলেটেড ছোটখাটো কিছু ইস্যু আছে সেগুলো আমরা এজিএমে উপস্থাপন করব।
গঠনতন্ত্র সংশোধন-
গঠনতন্ত্র সংশধোন নিয়ে নির্দিষ্ট করে আমি একটা যদি বলি, আমাদের আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠমো নিয়ে যে কথাগুলো হচ্ছিল এবং যেটা সময়ের দাবি হিসেবে যেটা বারবার উঠে আসছিল, তো আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামোকে যদি আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হয় প্রথমে আমাদের গঠনতন্ত্রে সংশোধনী নিয়ে আসতে হবে। কারণ আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামোর কোনো ব্যাপারই আমাদের ক্রিকেট গঠনতন্ত্রে ছিল না। তো গঠনতন্ত্রে যদি পরিবর্তন না আনা হয় তাহলে নতুন কিছু করাও সম্ভব না। যে কারণে সাধারণ পরিষদের অনুমোদন লাগে। এ কারণে কালকে আমাদের এজিএমে এই আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো গঠনের জন্য যে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী সে প্রস্তাবটা কালকে আনা হবে। সেখানে সাধারণ পরিষদে যদি সেটা পাশ হয়ে যায় তারপর আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামোটা কীভাবে তৈরি হবে এবং সেটি কীভাবে কাজ করবে সেগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে।
আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো-
আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো নিয়ে যেটি অনেকদিন আগে থেকে হয়ে আসছিল। ক্রিকেট তো সারা বিশ্বের তুলনায় যদি বলি আমরা অনেক খানি দেরীতেই আমাদের শুরু করা। এখন এগুলো সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে করতে হচ্ছে , অন গোয়িং প্রসেস। একটার পর একটা আসবে। এখন যেটি হচ্ছে কিছুদিন পর মনে হবে আরও কিছু করা প্রয়োজন সেগুলোও করা হবে। সময়ের দাবি হিসেবে শুরু হয়েছে ২১ বছর আগে দাবি ছিল দেখে এতদিন পর কেন হলো এটার চেয়ে আমরা বরং বলতে পারি এটা হচ্ছে, এটা আমরা করতে পারছি এটাই আলহামদুলিল্লাহ।
কাউন্সিলরশিপ-
অবশ্যই আলোচনা থাকবে। কাউন্সিলর কারা হবে না হবে সেটা কিন্তু গঠনতন্ত্রে আছে। তো গঠনতন্ত্রের কোনো একটা সংশোধনী যদি আনতে হয়, সংশোধন-সংযোজন যাই আনি না কেনো সেটা আনতে হলে সাধারণ পরিষদের সভা লাগে। আমাদের কাউন্সিরলদের জন্য যে ফরম্যাটটা এখন করা আছে, সেখানে চেঞ্জ আনতে হলে এজিএমের এপ্রুভাল লাগবে। তো সেক্ষেত্রে আমাদের মাননীয় বোর্ড সভাপতি বলেছেন, যে প্রস্তাবটা রাখছে যারা আমাদের ক্লাব যারা সিসিডিএমের মাধ্যমে খেলায় অংশগ্রহণ করে তাদের সব ক্লাবগুলোকে কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার জন্য বোর্ড সভাপতি প্রস্তাব করেছেন। সে প্রস্তাব কালকে উপস্থাপন করা, সবাই রাজি হলে সে অনুযায়ী কাজ হবে।
এখনো থার্ড ডিভিশন পর্যন্ত আছে। থার্ড, সেকেন্ড, ফাস্ট, প্রিমিয়ার ডিভিশন চারটা ডিভিশনের কাউন্সিলরশিপ আছে। কিন্তু এখন আছে যেমন থার্ড ডিভিশনের সব টিম সেটা পাচ্ছে না। যারা সুপার লিগ খেলছে তারাই শুধু কাউন্সিরশিপ পাচ্ছে। বোর্ড সভাপতি যেটা ফিল করেছেন, আমরা যদি এ জায়গাটায় উন্মুক্ত করে দিই তাহলে খেলার ভেতর কম্পিটিশন, পক্ষপাতিত্ব আম্পায়ারিং সে জিনিসটা তখন আর হয়তো থাকবে না। কারণ সুপার লিগে উঠলে কাউন্সিলশিপ পাব তখন একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা অনেক সময় হয়। সেটা বন্ধ করতে বোর্ড সভাপতি এরকম পরিকল্পনা করেছেন। তাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতাটা থাকবে না।